গ্যাজেটস এন্ড ডিভাইস

RAM কী ? RAM এর প্রকারভেদ ও RAM এর কাজ কি?

কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইল ফোন ইত্যাদি যেটাই কেনার কথা চিন্তা করি না কেন প্রথমেই যেটা মাথাই আসে সেটা হলো RAM। এসব ডিভাইসের খুবই গুরুত্ব পুর্ণ  একটি অংশ হলো RAM। RAM শব্দটির সাথে আমরা কম বেশি সবাই পরিচিত। RAM মুলত  ডাটা সংরক্ষণের মাধ্যম, অর্থাৎ এটি একধরণের  অস্থায়ী মেমোরি যা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইল ফোন ইত্যাদি বন্ধ বা switched off করলেই এর কাজ শেষ হয়ে যায়, এবং এর মধ্যে থাকা সব ইনফরমেশন বা তথ্য মুছে যায়। আজ আমরা RAM কি, এর ইতিহাস এবং এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে আসা যাক,

RAM কী?

প্রথমেই আমরা জানবো RAM কি, সেই সম্পর্কে। RAM হলো Random Access Memory এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি প্রসেসরের পাশাপাশি ক্লাসিক স্টোরেজ, এটি কম্পিউটিং ধাঁধার অন্যতম মৌলিক অংশ। সহজভাবে বলতে পারি RAM একটি কম্পিউটারের অস্থায়ী মেমোরী। আপনার কোন প্রোগ্রাম, ফাইল বা Netflix স্ট্রিম RAM ব্যতীত কাজ করবে না, এটি আপনার কম্পিউটার বা ডিভাইসের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।

What is Ram

RAM এর ইতিহাস

এখন RAM এর ইতিহাস সম্পর্কে একটু আলোচনা করা যাক, RAM প্রথম ১৯৪৭ সালে উইলিয়ামস টিউব ব্যবহার করে। এটি একটি CRT(cathode ray tube) ব্যবহার করা হয়েছিল। বৈদ্যুতিন চার্জযুক্ত দাগ হিসাবে ডেটা মুখের উপরে সংরক্ষণ করা হয়েছিল।

RAM দ্বিতীয় ব্যবহৃত রূপটি চৌম্বকীয় মেমরি ছিল, যা ১৯৬৪ সালে উদ্ভাবিত হয়েছিল। চৌম্বক-কোর মেমরি প্রতিটি রিংয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনকারী ক্ষুদ্র ধাতব রিং এবং তারের ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করে। রিংয়ের জন্য এক বিট ডেটা সংরক্ষণ করা হয়েছিল যা যে কোনও সময় অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। RAM হলো এমন একটি চৌম্বকীয় কোর মেমরি যা ১৯৫৫ থেকে ১৯৭৫ সালে উন্নত করা হয়েছিল। এই সময়ে এটি তখনকার কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহার করা হতো। RAM এ ডাইনামিক এবং স্ট্যাটিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার আগে কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহার করা হতো রিলে, ডিলে লাইন বা ডিলে মেমোরি, অথবা বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকুয়াম বা বায়ুশূণ্য টিউব।

ড্রাম মেমোরিগুলোর ক্ষেত্রে এগুলোর ক্ষমতা কম খরচে বাড়ানো যেত। কিন্তু তথ্যের উদ্ধার এবং গতি বাড়ানোর জন্য ড্রামের নকশা বা লে-আউট জানার প্রয়োজন হত। সমন্নিত ROM সার্কিট উন্নয়নের আগে ROM গুলো প্রায়ই বানানো হত সেমিকন্ডাক্টর ডাইওড ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে। প্রথম র‍্যাম মডিউল বাজারে আসে যেটা তৈরী হয়েছিল ১৯৫১, ১৯৬০ দশকে এবং ১৯৭০ দশকের প্রথমদিকে বিক্রি হয়েছিল।

RAM যেমনটি আমরা আজ জানি, সলিড-স্টেট মেমোরি হিসাবে, প্রথম আবিষ্কার করেছিলেন রবার্ট ডেনার্ড ১৯৮৮ সালে। Dynamic Random Access Memory বা DRAM হিসাবে বিশেষত পরিচিত, ট্রানজিস্টরগুলি ডেটার বিট সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হত।

RAM কী ? এর প্রকারভেদ, এটির কাজ কি?

RAM এর প্রকারভেদ

সাধারণত আধুনিক RAM দুই ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ

১. Static ram (স্ট্যাটিক র‍্যাম ) ও

২. Dynamic RAM(ডায়নামিক র‍্যাম )।

এখন চলুন, প্রতিটির বিস্তারিত আলোচনা করি:

১. Static RAM (SRAM):

Static RAM একটি উচ্চ-গতির RAM যা এক বিট তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ফ্লিপ-ফ্লপ অবস্থা ব্যবহার করে। এটি একধরণের ফ্লিপ-ফ্লপ সার্কিট যেখানে তথ্যের বিটগুলো স্থির থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে। এই ধরনের RAM কে স্ট্যাটিক বলা হয় কারণ এর তথ্য কখনোই পুনর্নবীকরণের (refreshing) প্রয়োজন হয় না, যেটি DRAM এর তুলনায় একটি বড় সুবিধা।

বিশেষত্ব:
  • গতি: SRAM অনেক দ্রুত কাজ করে, কারণ এটি বিনিয়োগের জন্য সহজ এবং দ্রুত অ্যাক্সেসের সুবিধা দেয়।

  • ক্ষমতা: এটি কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করে এবং এর কার্যক্ষমতা অনেক ভালো।

  • দাম: খরচ বেশি কারণ এটি তৈরি করতে অধিক প্রযুক্তি প্রয়োজন।

  • ব্যবহার: এটি ক্যাশ মেমোরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, যা CPU (Central Processing Unit) এর সাথে দ্রুত যোগাযোগের জন্য প্রয়োজন।

SRAM এর সুবিধা:
  • উচ্চ গতি: এটি দ্রুততম র‍্যাম এবং কম্পিউটার বা ডিভাইসের পারফরম্যান্স বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

  • কোনো রিফ্রেশ প্রয়োজন নেই: SRAM কে ডায়নামিক রিফ্রেশ করার প্রয়োজন নেই, যা এটিকে DRAM এর তুলনায় বেশি কার্যকর করে।

  • স্থির তথ্য: একবার তথ্য সংরক্ষিত হলে তা স্থির থাকে যতক্ষণ পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে।

SRAM এর অসুবিধা:
  • মূল্য: এটি সস্তা নয়, কারণ ফ্লিপ-ফ্লপ সিস্টেম ব্যয়বহুল এবং প্রযুক্তি জটিল।

  • কম ক্ষমতা: কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় সব র‍্যাম হিসেবে SRAM ব্যবহার করা সম্ভব নয়, কারণ এটি যথেষ্ট বড় সিস্টেমের জন্য ব্যয়বহুল।

Dynamic RAM (DRAM)

২. Dynamic RAM (DRAM):

Dynamic RAM (DRAM) একটি কম খরচে উৎপাদিত RAM, যা এক বিট তথ্য সংরক্ষণ করার জন্য ট্রানজিস্টর এবং ক্যাপাসিটর ব্যবহার করে। DRAM-এ ডাটা স্বল্প সময়ের জন্য সংরক্ষিত থাকে এবং এটি ধারাবাহিকভাবে রিফ্রেশ করতে হয়। এর মানে হলো, প্রতিটি বিট ডেটা সঞ্চিত থাকে একটি ক্যাপাসিটর-এ এবং এই ক্যাপাসিটরের চার্জ হারিয়ে যেতে পারে, তাই সময় সময় রিফ্রেশ করা দরকার।

বিশেষত্ব:
  • রিফ্রেশ প্রক্রিয়া: DRAM-কে প্রতিনিয়ত রিফ্রেশ করতে হয়, তাই এটি স্থায়ী তথ্য সংরক্ষণে সক্ষম নয়। এটি মূলত অস্থায়ী মেমোরি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়।

  • অফারিংস: সাধারণত, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব এবং মোবাইল ফোন-এ ব্যবহৃত RAM এর প্রধান ধরণ হলো DRAM।

  • কম খরচ: DRAM কম খরচে উৎপাদিত হয় এবং বৃহত্তর মেমোরি স্থানের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন প্রধান মেমোরি (RAM)।

DRAM এর সুবিধা:
  • কম দাম: এটি সস্তা এবং ভোলাটাইল মেমোরি হওয়ায় সহজে ব্যাপক উৎপাদন করা সম্ভব।

  • বিশাল পরিমাণে ব্যবহৃত: সস্তা হওয়ায় এটি কম্পিউটিং ডিভাইসে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।

  • ব্যাপক অ্যাপ্লিকেশন: DRAM এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ কম্পিউটার, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য ডিভাইসে ব্যবহৃত RAM হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।

DRAM এর অসুবিধা:
  • রিফ্রেশ প্রয়োজন: ডেটা সংরক্ষণের জন্য রিফ্রেশিং প্রক্রিয়া লাগে, যা গতি কমিয়ে দেয়।

  • কম গতি: SRAM-এর তুলনায় DRAM এর গতি কম, কারণ প্রতিটি বিটকে সংরক্ষণ করতে রিফ্রেশ করা প্রয়োজন।

  • ভোলাটাইল: এটি বিদ্যুৎ চলে গেলে দ্রুত তথ্য মুছে যায়, তাই স্থায়ী ডেটা সংরক্ষণে ব্যবহার করা যায় না।

RAM এর কাজ কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে?

RAM (Random Access Memory) আপনার ডিভাইসের প্রধান মেমরি হিসেবে কাজ করে। এটি মূলত একটি অস্থায়ী মেমরি, যেখানে আপনার কাজ করা ডেটা এবং প্রোগ্রামগুলি দ্রুত অ্যাক্সেস করার জন্য সঞ্চিত থাকে। RAM এবং হার্ড ডিস্ক এর মধ্যে একটি লিংক থাকে, যেটি আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্সের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

RAM কিভাবে কাজ করে?

ধরা যাক, আপনি একটি এপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ওপেন করতে চান। তখন RAM আপনার হার্ড ডিস্ক বা মেমরি থেকে প্রয়োজনীয় ডেটা তুলে এনে আপনার স্ক্রীনে প্রদর্শন করে। এর মানে হলো, RAM সেই ডেটাকে এক্সেস করে এবং তা আপনার ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করে দেয়।

আরও সহজভাবে ব্যাখ্যা করলে, ধরুন আপনার কাছে একটি বইয়ের লাইব্রেরি রয়েছে, যেখানে অনেক বই রাখা আছে। আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট বই পড়তে চান, তাহলে আপনি সেই বইটি পড়ার টেবিলে রেখে পড়তে পারবেন। এখানে লাইব্রেরি হলো হার্ড ডিস্ক এবং পড়ার টেবিল হলো RAM।

RAM আপনার জন্য দ্রুতভাবে বই (ডেটা) সরবরাহ করে, যাতে আপনি দ্রুত এবং সহজে কাজ করতে পারেন। অর্থাৎ, RAM হল আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা/এপ্লিকেশন দ্রুত এবং সরাসরি আপনার কাছে উপস্থাপনকারী।

RAM এর গুরুত্ব:

  • প্রোগ্রাম লোডিং: যখন আপনি কোন প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার ওপেন করেন, তা দ্রুত RAM-এ চলে আসে এবং তারপর আপনার স্ক্রীনে প্রদর্শিত হয়।

  • তথ্য প্রসেসিং: RAM এর মাধ্যমে তথ্য দ্রুত এক্সেস করা সম্ভব হয়, যাতে আপনি স্লো হতে না গিয়ে দ্রুত কাজ করতে পারেন।

  • বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহৃত: কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব, মোবাইল ফোন—এই সব ডিভাইসে RAM একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ ছাড়া RAM ছাড়া আপনার ডিভাইস কোনো কাজই করতে পারবে না। যদি RAM না থাকত, তবে এই ডিভাইসগুলি ডেটা পড়তে বা লিখতে পারতো না।

RAM এর কার্যপ্রণালী:

১. প্রোগ্রাম রান করার সময়: যখন আপনি কোনো প্রোগ্রাম চালান, সেটি প্রথমে RAM-এ লোড হয়।
২. লোড করার স্থান না থাকলে: যদি RAM-এ কাজ করার মতো যথেষ্ট জায়গা না থাকে, তবে প্রোগ্রামটি চালু হতে পারে না। এটি আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্সের উপর প্রভাব ফেলে।
৩. অস্থায়ী স্মৃতি: RAM একটি অস্থায়ী মেমরি হিসেবে কাজ করে, অর্থাৎ এটি শুধুমাত্র চালু অবস্থায় তথ্য সংরক্ষণ করে। ডিভাইস বন্ধ হলে এর মধ্যে থাকা সমস্ত তথ্য মুছে যায়।

RAM এর স্পিড এবং এর প্রভাব

  • RAM এর স্পিড বেশি হলে ডিভাইসের গতি বাড়ে। যখন আপনি দ্রুত তথ্য এক্সেস করতে পারেন, তখন আপনার ডিভাইসের পারফরম্যান্স অনেক উন্নত হয়।

  • ভালো ব্র্যান্ড: বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের RAM পাওয়া যায়, তবে ভালো ব্র্যান্ড ব্যবহার করাই শ্রেয়। কেননা, উচ্চ গতি এবং স্থায়িত্বের জন্য প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডের RAM সবচেয়ে কার্যকরী।

উপসংহার:

RAM হল আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইসের অস্থায়ী মেমরি, যা আপনার প্রয়োজনীয় ডেটা দ্রুত অ্যাক্সেস করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাব বা মোবাইল ফোনে কাজ করতে গেলে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। RAM এর স্পিড এবং ক্ষমতা বৃদ্ধি করলে, ডিভাইসের পারফরম্যান্সও বৃদ্ধি পাবে। এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত প্রোগ্রাম চালাতে, ফাইল সংরক্ষণ করতে এবং নানা কাজ দ্রুত করতে সক্ষম হবেন।

FAQ: RAM সম্পর্কে

RAM কি?

RAM (Random Access Memory) একটি অস্থায়ী মেমরি যা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটে ব্যবহার হয়। এটি এমন তথ্য সংরক্ষণ করে যা আপনার ডিভাইসের জন্য প্রয়োজনীয়, এবং ডিভাইসটি চালু অবস্থায় থাকলে সেই তথ্যটি দ্রুত অ্যাক্সেস করা যায়।

RAM এর কাজ কি?

RAM ডিভাইসের প্রোগ্রাম, ফাইল, বা অন্য ডেটা দ্রুত লোড এবং এক্সেস করার জন্য কাজ করে। এটি কম্পিউটারের কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে এবং যখন আপনি কোনো সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম চালান, তখন সেই ডেটা প্রথমে RAM-এ চলে আসে এবং দ্রুত দেখানোর জন্য প্রস্তুত হয়।

RAM এবং ROM এর পার্থক্য কি?

RAM হলো ভোলাটাইল মেমরি, যা বিদ্যুৎ চলে গেলে সব তথ্য মুছে যায়। অপরদিকে, ROM (Read-Only Memory) হলো নন-ভোলাটাইল মেমরি, যা বিদ্যুৎ চলে গেলেও তথ্য ধরে রাখে।

RAM এর কি প্রকারভেদ আছে?

হ্যাঁ, RAM দুটি প্রধান প্রকারে বিভক্ত:

  • Static RAM (SRAM): এটি দ্রুত এবং শক্তিশালী, তবে খরচ বেশি।

  • Dynamic RAM (DRAM): এটি কম খরচে তৈরি হয় এবং প্রধান মেমরি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, তবে এতে তথ্য রিফ্রেশ করতে হয়।

কিভাবে বেশি RAM আপনার ডিভাইসের গতি বাড়ায়?

যত বেশি RAM থাকবে, ডিভাইসটি তত বেশি প্রোগ্রাম একসাথে চালাতে সক্ষম হবে, এবং গতি বৃদ্ধি পাবে। এটি ডেটা প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়ায়, ফলে আপনি দ্রুত সফটওয়্যার চালাতে পারবেন এবং মাল্টিটাস্কিংয়ে দক্ষ হতে পারবেন।

Related Articles

One Comment

  1. PDF আকারে ডাউনলোড করার অপশন থাকলে ভালো হতো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!