কেন সঠিক Data Transmission মোড বাছাই করা জরুরি?
তথ্য-প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগে তথ্য ও প্রযুক্তির জ্ঞান থাকা জরুরি। এই ব্লগে Data Transmission কি? কত প্রকার? উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সম্পূর্ণ ব্লগটি পড়লে ডেটা ট্রান্সমিশন বিষয়ে জানতে ও বুঝতে পারবেন।
ডেটা ট্রান্সমিশন কি?
দুটি ডিভাইসের মধ্যে তথ্য বা ডেটা আদান-প্রদান করার প্রক্রিয়াকে ডেটা ট্রান্সমিশন বলে।
Data Transmission কত প্রকার?
ডেটা প্রবাহের দিকের উপর নির্ভর করে ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ৩ ভাগে বিভক্ত। যথা-
১। সিমপ্লেক্স মোড
২। হাফ ডুপ্লেক্স মোড
৩। ফুল ডুপ্লেক্স মোড
১। সিমপ্লেক্স (Simplex Data Transmission):
যে পদ্ধতিতে ডেটা শুধু একদিকে পাঠানো সম্ভব হয় তাকে সিমপ্লেক্স মোড বলে। একে একটি ওয়ান ওয়ে রোডের সাথে তুলনা করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় প্রেরক শুধু ডেটা প্রেরণ করে এবং গ্রাহক শুধু ডেটা গ্রহণ করে। একে একটি ওয়ান ওয়ে রোডের সাথে তুলনা করা যায়।
উদাহরণঃ কিবোর্ড, মাউস।
আরও পড়ুন-প্রটোকল কি? প্রটোকলের কাজ কি?
সিমপ্লেক্স মোডের সুবিধা:
- স্টেশনটি কমিউনিকেশন চ্যানেলের পুরো ব্যান্ডউইথকে ব্যবহার করতে পারে, ফলে এক সাথে অধিক ডেটা প্রেরণ করা যায়।
সিমপ্লেক্স মোডের অসুবিধা:
- যোগাযোগ একমুখী, তাই এটি ডিভাইসসমূহের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ নেই।
২। হাফ-ডুপ্লেক্স (Half-duplex Data Transmission):
যে পদ্ধতিতে দুইদিকেই ডেটা আদান প্রদান করা সম্ভব তাকে হাফ-ডুপ্লেক্স মোড বলে। এই প্রক্রিয়ায় ডেটা একই সাথে নয়, আলাদা আলাদা সময়ে আদান প্রদান করতে হয়। অর্থাৎ, একটি ডিভাইস ডেটা পাঠালে অন্যটিকে অপেক্ষা করতে হয়। এই পদ্ধতিতে ডেটার ভেতর সংঘর্ষ না হওয়ার জন্য বিশেষ সার্কিটের ব্যবস্থা রাখতে হয়।
উদাহরণঃ ওয়াকিটকি, ফ্যাক্স, এস.এম.এস ইত্যাদি হাফ ডুপ্লেক্স মোডে চলে।
হাফডুপ্লেক্স মোডের সুবিধা:
- হাফডুপ্লেক্স মোডে, উভয় ডিভাইসই ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে।
- Data Transmission এর সময় কমিউনিকেশন চ্যানেলের পুরো ব্যান্ডউইথকেও ব্যবহার করতে পারে।
হাফডুপ্লেক্স মোডের অসুবিধা:
- একটি ডিভাইস data প্রেরণের সময় অন্যটিকে অপেক্ষা করতে হবে। এতে সঠিক সময়ে ডেটা প্রেরণে বিলম্বের কারণ ঘটায়।
৩। ফুল-ডুপ্লেক্স (Full-duplex mode):
যে পদ্ধতিতে একই সময়ে উভয় প্রান্তের দুটি ডিভাইস একই সাথে data প্রেরণ এবং গ্রহণ করে তাকে ফুল-ডুপ্লেক্স মোড বলে।
উদাহরণঃ টেলিফোন, মোবাইল ফোন, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কমিউনিকেশন।
ফুলডুপ্লেক্স মোডের সুবিধা:
- উভয় স্টেশন একই সাথে ডেটা প্রেরণ এবং গ্রহণ করতে পারে।
- ফুলডুপ্লেক্স মোডটি ডিভাইসগুলোর মধ্যে যোগাযোগের দ্রুততম মোড।
ফুলডুপ্লেক্স মোডের অসুবিধা:
- ডিভাইসগুলোর মধ্যে যদি কোনও ডেডিকেটেড পথ উপস্থিত না থাকে। তবে কমিউনিকেশন চ্যানেলটির ক্ষমতা দুটি অংশে বিভক্ত হয়।
প্রাপক সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের উপর ভিত্তি করে Data Transmission এর প্রকারভেদ
প্রাপকের সংখ্যা ও ডেটা গ্রহণের অধিকারের উপর ভিত্তি করে Data Transmission মোডকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। এগুলো হলো-
(১) ইউনিকাস্ট (Unicast):
যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি প্রেরকের data শুধুমাত্র একটি প্রাপকই গ্রহণ করতে পারে, সে পদ্ধতিকে ইউনিকাস্ট ট্রান্সমিশন বলে।
উদাহরণ- সিমপ্লেক্স, হাফ-ডুপ্লেক্স ও ফুল-ডুপ্লেক্স মোড।
(২) মাল্টিকাস্ট (Multicast):
যে Data Transmission পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের কোন একটি নোড থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা নেটওয়ার্কের অধীনস্ত সকল নোডই গ্রহণ না করে শুধুমাত্র নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সকল সদস্য গ্রহণ করতে পারে তাকে মাল্টিকাস্ট বলে।
উদাহরণ- ভিডিও কনফারেন্সিং, গ্রুপ SMS, চ্যাটিং।
(৩) ব্রডকাস্ট (Broadcast):
যে ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে নেটওয়ার্কের কোন একটি কম্পিউটার থেকে ডেটা প্রেরণ করলে তা ঐ নেটওয়ার্কের অধীনস্ত সকল নোডই তা গ্রহণ করতে পারে তাকে ব্রডকাস্ট ট্রান্সমিশন বলে।
উদাহরণ- টিভি সম্প্রচার, রেডিও সম্প্রচার।
পরিশেষে
Data Transmission সম্পর্কিত সকল প্রাথমিক তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। ডেটা ট্রান্সমিশন সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন অথবা মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করুন।