ফেসবুক টিপস

ফেসবুকে গোপনীয়তা বজায় রাখতে আপনার করনীয়

আমারা অনেকেই ফেসবুক চালায়। কিন্তু আমরা ফেসবুকের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার ক্ষেত্রে সচেতন নই। যার ফলে দেখা দেয় নানা সমস্যা। সবাই আমাদের তথ্য গুলো দেখতে পারে মুক্তভাবে। এমন কি যাদেরকে আমরা চিনি না তারাও। যার ফলে দেখা যায় ফেসবুকের গোপনীয়তা বজায় থাকেনা আপনার করনীয়না। আর এই গোপনীয়তা বজায় রাখার জন্যই আমাদের ফেসবুক প্রাইভেসি সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

ফেসবুক তাদের গ্রাহকের নিরাপত্তার জন্য প্রাইভাসি সেটিংসের মধ্যে কিছু সহায়ক ফিচার সংযোজন করে রেখেছে। পরিষ্কার করে বলতে গেলে, অন্যান্য ব্যবহারকারীদের থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষার জন্য কিছু নির্দিষ্ট সেটিংস ফেসবুক সরবরাহ করে রেখেছে। সেগুলো কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে নিচে নির্দেশাবলী দেওয়া হলোঃ

ফেসবুক প্রায়ভেসির প্রায়মারি সেটআপ

ফেসবুকের ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষায় প্রথমেই আপনাকে প্রাথমিক কিছু সেটিংস কনফিগারেশন করতে হবে। এটি করার ফলে আপনি যাদের কে নির্বাচন করবেন তা্রাই শুধু আপনার পোষ্ট দেখতে পারবে। অর্থাৎ, আপনার ফেসবুক প্রোফাইলটির পোষ্ট করা এবং শেয়ার করা তথ্য বা ছবি গুলো আপনার বাছায় করা নির্দিষ্ট কিছু ফ্রেন্ডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। তা্রা ছাড়া অন্য কেউ সেগুলো দেখতে পারবে না। আর কোন তথ্যগুলো সবাই দেখতে পারবে সেটি প্রথমেয় আপনাকে সেট আপ করতে হবে। সেগুলোকে পাবলিক করতে হবে।

ফেসবুকে ব্রাউজের পর হিস্ট্রি ডিলিট করা

আমরা যখন ফেসবুক ব্রাউজ করি তখন ফেসবুকে আমরা যা যা করি সেগুলো সব তথ্যই ওয়েবসাইটে সংরক্ষিত হয়। কোন কন্টেন সার্চ করলে সেই সার্চ হিস্ট্রিও ওয়েবসাইটের কাছে জমা হয়ে থাকে। এমনকি আমরা কোন সাইটে ভিজিট করলে। আর এগুলো আমাদের অবশ্যই ডিলিট করা বা মুছে ফেলা প্রয়োজন ফেসবুকের গোপনীতা রক্ষায়।

কেননা, তাছাড়া এই তথ্য গুলো দিয়ে ফেসবুক আমাদের চাহিদা সম্পর্কে অবগত হতে পারবে। এবং আমাদের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে তারা আমাদের কাছে এ্যাড সো করবে। অর্থাৎ, আমরা যে বিজ্ঞাপন গুলো দেখতে পাই সেগুলো আমাদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে আমাদের দেখানো হয়। তাই আপনি যদি চান যে আপনার চাহিদা সম্পর্কে কেউ না জানুক তবে আপনি আপনার ব্রাউজারের হিস্ট্রি সর্বদা মুছে ফেলুন। তাছাড়াও সবসময় নিয়মিত ব্রাউজার হিস্ট্রি ডিলিট করায় স্রেয়।

আপনাকে ট্র্যাক করে এমন তথ্য মুছে ফেলা

ফেসবুকে থাকা অবস্থায় আপনি কি করছে ফেসবুক তা সর্বদা ট্র্যাক করে। এমন কি আপনি যখন ফেসবুকে থাকেন না তখনো ফেসবুক আপনাকে ট্র্যাক করে। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে, ‘কিভাবে তারা আমাদের ট্র্যাক করে?’ আপনি যখন ইন্টারনেটের অন্যান্য কাজ করছেন। সেগুলো সবই পর্যবেক্ষণ করা হয়।

এই রকম হাজার হাজার এপ্লিকেশন ও ওয়েবসাইট আছে যেগুলো আপনাকে পর্যবেক্ষন করে। আর আপনি কি করছেন সেসব তথ্য বিভিন্ন সাইটে বিক্রি করে তারা অর্থ আয় করে। আর এইসব সাইট থেকে ফেসবুক তথ্য গুলো ক্রয় করে নেয়। যাতে করে আপনার রুচি এবং চাহিদা অনুযায়ি আপনার চাহিদা পূরণ করতে পারে। এবং আপনি যেন তাদের সাইটে অধিক সময় ব্যয় করেন। মাঝে মাঝে আপনি রিয়েল ওয়ার্ডে কি করছেন তাও ট্র্যাক করা করা হয়।

তাই শুধু এসব সাইটের ব্যাক গ্রাউন্ড ডাটা ডিলিট করলেই হবে না বরং ফিউচার একটিভিটিও ডিজেবল করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন সেই প্রসেসটি নিচে দেওয়া হলো,

(কম্পিউটারে) প্রথমে ফেসবুক পেইজের সবচেয়ে ডানে নোটিফিকেশন বারের পাশে ডাউন এরো তে ক্লিক করে ‘সেটিংসে এন্ড প্রাইভিসি’ তে যেতে হবে। তারপর ‘প্রাইভিসি শর্টকাটে’ গিয়ে ‘ভিউ ওর ক্লিয়ার ইওর অফ-ফেইসবুক একটিভিটি’ এরপর ‘মেনেজ ইওর অফ-ফেইসবুক একটিভিটি’ তে ক্লিক করে এক্টিভিটি ওফ করতে হবে। তার পর ফিউচার এক্টিভিটিও অফ করতে হবে। আর ক্লিয়ার হিস্টরি তে ক্লিক করে হিস্টরি ক্লিয়ার  করলেই ফেসবুক আর আপনাকে পুরপুরি ট্র্যাক করতে পারবে না। এই প্রসেসটি কম্পিউটার ব্রাউজার, স্মার্ট ফোন এপ্লিকেশন সব ক্ষেত্রেই প্রায় এক।এতে ফেসবুকের গোপনীতা

অনলি-মি অফশন চালু রাখা

অনলি-মি অফশন চালু করে রাখতে হবে কারন ফেসবুক প্রোফাইল তৈরী করার সময় যে তথ্য গুলো ব্যবহার করে থাকি যেমনঃ মোবাইল নাম্বার, ই-মেইল NID ইত্যাদি তথ্য গুলো যেন শুধু নিজে দেখতে পারি এই জন্য অনলি মি- অফশন চালু করে রাখতে হবে। যা ফেসবুকের গোপনীতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে

মোটামোটি ভাবে, উপরের প্রসেসগুলো  অনুসরন করলেই আপনি আপনার ফেসবুকের গোপনীয়তা বজায় রাখতে পারবেন।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!