ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়

আমাদের দেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম হলো ফেসবুক। শুধু আমাদের দেশেই নয় বরং পৃথিবীর অনেক দেশেই এটি জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে রূপলাভ করেছে। ২০০৪ সালে ফেসবুক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এটি নানা ভাবে এটির ব্যবহারকরীদের মন জয় করেছে এবং এখন পর্যন্ত করছে। অনেকই এতে এখন সময় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছে। অবশ্য স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেই না কেন, এটি আমাদের আত্মীয়-স্বজন, পরিচিত মানুষজন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগে কতই না ভুমিকা রাখছে। এমন কি আমাদেরকে কত রকমের বিনদন দিয়ে আমাদের মনকে প্রফুল্ল করে তুলছে। তাহলে এটি ব্যবহার করতে বা এতে সময় দিতে সমস্যা কোথায়? কিন্তু, সমস্যাতো তখনি হয়ে ওঠে যখন এটি আমরা ব্যবহার করতে না চাওয়া স্বত্ত্বেও আমরা এটি ব্যবহার করি। এটি থেকে বের হতে চাই কিন্তু বের হতে পারি না। অর্থাৎ, যখন ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পরি। আপনিও কি ফেসবুক আসক্তিতে ভুগছেন? হয়তো বা এটি আপনারও একটি বিরাট সমস্যায় পরিণত হয়ে পড়েছে। নইলে আপনি এই আর্টিকেলটি পরতেন না। তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে, ফেসবুক আসক্তি সম্পর্কৃত খুটিনাটি বিষয়াদি এবং ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো জেনে আসা যাক।
ফেসবুক আসক্তি কি?
প্রথমে জেনে নিই ফেসবুক আসক্তি কি। ফেসবুক আসক্তি হলো ইচ্ছাকৃতভাবে অথবা অনিচ্ছাকৃতভাবে অপ্রয়োজনে ফেসবুকে অনিয়মিত ঘুরাঘুরি করা। অনিয়ন্ত্রিতভাবে ফেসবুকে চলাফেরা করা এবং ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ফেসবুকে সময় নষ্ট করা থেকে নিজেকে থামাতে না পারাই ফেসবুক আসক্তির মধ্যে গণ্য। ফেসবুক বা যেকোন সোশ্যাল মিডিয়া আসক্তি একটি আচরণগত নেশা। বিষেশজ্ঞরা একে সোসাল মিডিয়া ডিজর্ডার বলে আখ্যায়িত করেছেন। এটি ফেসবুক সম্পর্কে আসক্তদের অত্যধিক উদ্বিগ্ন করে তোলে। যার ফলে আমরা আমাদের নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। এবং আমরা চাইলেও ফেসবুক থেকে বের হতে পারি না।
কেন আমরা ফেসবুকে আসক্ত হই?
আমরা অনেক কারন বসতই ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়ি। উদাহরণস্বরূপ, ফেসবুকে কোন পোস্ট করার পরে এটি আমাদেরকে ফেক রিওয়ার্ড দিয়ে থাকে। আপনি হয়তো অবশ্যই লক্ষ করেছেন যে, আপনি যখন ফেসবুকে কোন পোস্ট করেন তখন সেই পোস্টে অন্যেরা লাইক কমেন্ট বা রিয়াক্ট করে। আর তখনি সেটার একটা নোটিফিকেশন ফেসবুকের নোটিফিকেশন বারে চলে আসে। সেই নোটিফিকেশনে ক্লিক করে দেখার পর আপনার কিছুটা ভালো লাগে। এটাই মুলত ফেক রিওয়ার্ড। যা অন্যের দেওয়া রিয়েক্ট বা কমেন্ট হলেও ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যেমে এভাবে আমাদেরকে ফেসবুক একটু ভালো অনুভব করায়। এই ফেক রিওয়ার্ডটি আমাকে আপনাকে ফেসবুকে ঢুকতে বাধ্য করে।
এছাড়াও ফেসবুকে ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে তো প্রিয়জনদের সাথে ম্যাসেজিং এর সুযোগ আছেই। ইদানিং আবার ফেসবুকে ভিডিও সেকশন অ্যাড করা হয়েছে। যাতে বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা বিনোদন থেকে শুরু করে নানান ধরনের ভিডিও তৈরি করে পোস্ট করে। এক্ষেত্রে ফেসবুক প্রত্যেকের রুচি অনুযায়ী ভিডিও প্রত্যকের ভিডিও সেকশন টাইমলাইনে পাঠিয়ে দেয়। যে কারনে ফেসবুকের ভিডিও সেকশনে একবার ঢুকলেই সময় কোন দিক দিয়ে শেষ হয়ে যায় তা বোঝায় যায় না। ফেসবুক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ভিডিও সেকশন অ্যাড করার পর থেকে ফেসবুকে আসক্ত হওয়ার এটি নতুন একটি স্কোপ হিসেবে রূপলাভ করেছে। এটিই মূলত বর্তমানে ফেসবুকে আসক্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় ও প্রধান কারন হিসেবে ধরা হয়।
ফেসবুক অ্যাডিকশন বা আসক্তির ক্ষতিকর দিকঃ
কোন কিছুর আসক্তি বা নেশা কখনই আমাদের মঙ্গল বয়ে নিয়ে আসে না। বরং যেকোন আসক্তিই আমাদের সর্বদা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। হোক সেটা বাস্তব জগতের কোন কিছু অথবা অনলাইন জগতের। হয়তো বা সেটা আমাদের কিছুটা সাময়িক আনন্দ দেয়, কিংবা নানান উপকারে আসে। কিন্তু, যখন কোন কিছুর দ্বারা আমরা উপকৃত হই তখন, কোন ভাবেই আমরা এটা ধরে নিতে পারব না যে সেটা আমাদের কোন ক্ষতি করে না বা করবে না। কেননা, সবকিছুরই ভালো-মন্দ উভয় দিকই বিদ্যমান। ফেসবুক বা সোসাল মিডিগুলোর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই সূত্রে গাঁথা। ফেসবুক আমাদের যেমন নানান ক্ষেত্রে জীবনকে সহজ করে তুলেছে। তেমনি আমদের প্রতি-নিয়ত বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করছে।
সর্বপ্রথম ও প্রধান যেই ক্ষতি করছে সেটি হলো আমাদের প্রজন্মকে অলস করে তুলছে।আমরা নিজেরাও আস্তে আস্তে কি পরিমাণ অলস হয়ে উঠছি সেটাও লক্ষ্য করার মতো। এমন কি আমরা একটু লক্ষ্য করলেই দেখতে পাব আমাদের এই জেনারেশনের সকল ছেলে-মেয়েরাই ধীরে ধীরে কতটা অলস হয়ে উঠছে। দ্বিতীয় যেই ক্ষতিটা করছে সেটা হলো আমাদের নিজেদের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রন করার ক্ষমতা কমিয়ে ফেলছে। যেমন, আমরা যখন ফেসবুক বা যেকোন সোসাল মিডিয়া চালায় তখন আমরা আমাদের নিজেদের প্রতি নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলি। আমরা চাইলেও সেখান থেকে বের হতে পারি না। এছাড়াও আর কি কি ক্ষতি করে সেটা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারেবেন যদি নিচের পয়েন্ট গুলো একটু চোখবুলিয়ে নেন।
ফেসবুক আসক্তিতে শারীরিক ও মানসিক কি কি পরিবর্তন ঘটেঃ
- আসক্ত ব্যাক্তির আবেগের উপর নেতিবাচক প্রভাব পরে।
- আসক্ত ব্যাক্তিকে হতাশা, দুশ্চিন্তার মতো খারাপ আবেগ গুলোর প্রকোপ প্রবলভাবে পেয়ে বসে।
- আসক্ত ব্যাক্তি নিজেকে একাকী ও দোষী ভাবতে শুরু করে।
- বেশিক্ষন কোন কিছুতে মনযোগ ধরে রাখতে পারে না।
- কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে যায়। যার ফলে কোন কাজই ঠিকঠাক করতে পারে না।
- সময় জ্ঞান লোপ পায়, যাতে করে সময়ানুবর্তিতা হারিয়ে ফেলে।
- সকল দায়-দায়িত্ব ভুলে গিয়ে ডুবে থাকে ফেসবুকের মধ্যে।
- কাজ-কর্ম পড়াশোনাসহ সবকিছুতেই অনিহা তৈরি করে।
- শারীরিক সমস্যা গুলোর মধ্যে মাথাব্যথা, পিঠব্যথা বা মেরুদণ্ডে সমস্যা ইত্যাদি দেখা দেয়।
- ওজনের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কারও ওজন কমে আবার কারও ওজন বাড়ে।
- ইনসমনিয়া বা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। যার ফলে চোখের নানান সমস্যা দেখা দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, অন্যান্য আসক্তির মতো ফেসবুক আসক্তিতেও আমাদের আচরনগত পরিবর্তন ঘটে। সেটা কিছুদিন ফেসবুক না চালালেই বুঝতে পারবেন। এই ক্ষতি কর দিক গুলো ছাড়াও ফেসবুক আসক্তির কারনে আমাদের বিভিন্ন ধরনের মানসিক ক্ষতি হয়ে থাকে। যা স্বল্পমেয়াদে বোঝা না গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে খুবই ভয়ংকর রূপ ধারন করে।
কিভাবে বুঝবেন আপনি ফেসবুক আসক্ত কি না?
ইদানিং ফেসবুক আসক্তি অনেক ফেসবুক ব্যবহার কারির মধ্যেই লক্ষ করা যাচ্ছে। অনেকের মধ্যেই ফেসবুক আসক্তির লক্ষণ গুলো ফুটে উঠছে। আপনি ফেসবুকে আসক্ত কিনা সেটা বুঝতে হলে নিচের লক্ষন গুলো মন দিয়ে পড়ুন। এবং মিলিয়ে নিন নিজের সাথে। যদি উপসর্গ গুলোর মধ্যে বেশির ভাগি আপনার মধ্যে খুজে পান তবে বুঝবেন আপনিও ফেসবুকে আসক্ত হয়ে পড়েছেন।
ফেসবুক আসক্তির লক্ষণসমূহঃ
ফেসবুকে আসক্ত হওয়ার অনেকগুলো লক্ষন রয়েছে যেগুলো Social Media Disorder বিষেশজ্ঞরা চিহ্নিত করেছেন। তন্মধ্যে নিম্নে বর্ণিত উপসর্গ গুলো উল্লেখযোগ্য।
- ঘুম থেকে উঠেই সর্বপ্রথম স্মার্টফোনটি হাতে নিয়েই ফেসবুকে ঢু মেরে আসা।
- যেকোন কাজ করার সময় কিছুক্ষণ অন্তর অন্তর ফেসবুকে ঢুকে অযথা স্ক্রোলিং করা।
- ফেসবুকের একটি নোটিফিকেশন sound! বেজে উঠল! কি নোটিফিকেশন সেটা দেখতে গেলেই ঘন্টার পর ঘন্টা কোন দিক দিয়ে চলে যায় সেটা টের না পাওয়া।
- ফেসবুকের কোন নোটিফিকেশন চিহ্ন দেখলেই কিছুটা উত্তেজিত হয়ে সেটা চেক করা।
- নিজের সম্পর্কে ফেসবুকে মাত্রাতিরিক্ত পোস্ট করা।
- নিজের ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো বা অনুভব করা।
- বাস্তব জীবনে অন্যের সাথে মেলামেশা, কথা বলার চেয়ে ফেসবুকে মেলামেশা, কথাবলাকে অধিক প্রাধান্য দেওয়া।
- ফেসবুকে কাউকে বন্ধু বানানোর জন্য অস্বাভাবিক আচরণ করা।
- যেকোন পোস্টে ফ্রেন্ডদের ট্যাগ করা।
- পোস্টে কেউ কমেন্ট না করলে কিছুটা হতাশ হয়ে পড়া।
- ফ্রেন্ড লিস্ট বারানোর জন্য অপরিচিতদের কেউ তালিকা ভুক্ত করার প্রবনতা।
- ফেসবুক না চালালে নিজেকে ফাকা ফাকা অনুভব করা।
- ঘুমানোর আগ-মূহুর্ত পর্যন্ত ফেসবুকে ঘুরাঘুরি করা।
- মাঝ রাতে জাগা পেলেও ফেসবুকে একবার ঘুড়ে আসা।
তো কয়টি লক্ষণ আপনার মধ্যে খুজে পেলেন? যদি দুই-একটি হয় তবে কোন সমস্যা নেই। নিশ্চিন্ত থাকুন। আপনি ফেসবুক আসক্ত নন। কিন্তু, যদি আধিকাংশ লক্ষণগুলোই আপনার মধ্যে বিদ্যমান থাকে তবে আপনি ফেসবুক আসক্ত হয়ে পরেছেন।
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য শুধু কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই চলবে। আপনি চাইলে কিছু সহজ-সরল নিয়ম মেনে চলার মাধ্যমে আপনি এই আসক্তি থেকে পুরপুরি মুক্তি পেতে পারেন। আপনার জন্য বেছে বেছে কয়েকটি টিপস & ট্রিকস নিচে দেওয়া হলো যেগুলোর আপনি যথাযথ প্রয়োগ করলে অবশ্যই এই ব্যাধি থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাবেন। তাহলে নিয়মগুলো জেনে নেওয়া যাক,
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়ঃ
- প্রথমেই মেনে নিন যে আপনি ফেসবুকে আসক্ত। কারন, আমরা যদি আমাদের নিজেদের সমস্যা স্বীকার না করি, তবে সেটার সমাধান করব কিভাবে। তাই প্রথমে নিজে স্বীকার করুন যে, আপনি ফেসবুক আসক্ত।
- আসক্তির কারন চিহ্নিত করুন। কোন কারনে ফেসবুকে আপনি আসক্ত সেটা নিশ্চিত হোন। কেন আপনি বারবার ফেসবুকে যান সেটা ভাবুন।
- নিজেকে হীন মনে করা বন্ধ করুন। হতাশা কাটিয়ে উঠুন এবং নিজেকে ভালোবাসুন। আপনার যদি নিজের প্রতি ভালোবাসা না থাকে তবে আপনি কোন আসক্তি থেকেই মুক্তি পেতে পারবেন না। কারন, আপনি যখন নিজেকে ভালোবাসবেন তখন নিজের ক্ষতি হয় এমন কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবেন।
- যে সময়টা ফেসবুকে দিতেন চেষ্টা করুন সেটা আপানার পছন্দের কোন কাজে ব্যয় করতে। আপনার কোন সখের কাজও করতে পারেন। যেমন, কোন বই পড়া, গান শোনা মুভি দেখা, ছবি আকা, ফুলের বাগান তৈরি করা বা গাছ লাগানো ইত্যাদি। অর্থাৎ, ফেসবুক বাদে অন্য কোথাও সময় কাটানোর বিকল্প উপায় খুজে বের করুন।
- যোগ বিয়াম বা মেডিটেশন করুন। মেডিটেশন মনকে নিয়ন্ত্রন করার সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরি উপায়। যেকোন আসক্তি দূর করার জন্যই এটি সবচেয়ে কার্যকরি মাধ্যম।
- ফেসবুকে আপনার যদি একান্তই কোন দরকার থাকে তবে দিনের একটি নির্দিষ্ট সময় বেছে নিন ফেসবুক চালানোর জন্য। দিনের যেকোন একসময় ফেসবুক ব্রাউজ করার জন্য নির্ধারন করুন। কিন্তু, সেই সময় যেন ৩০ মিনিটের বেশি না হয়। এরপর নিজের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা বদ্ধ থাকুন যে “আমি ‘সেই নির্দিষ্ট’ সময় ছাড়া দিন-রাত ২৪ ঘন্টার অন্য কোন সময় ফেসবুকে ঢুকব না”।
- সর্বশেষ যেই গুরুত্বপূর্ণ নিময়টি মানবেন সেটা হলো কখনই সকালে ঘুমথেকে ওঠার পর ও রাতে ঘুমানোর আগে ফেসবুকে প্রবেশ করবেন না। কারন এই সময় আমাদের মন একদম শান্ত থাকে। এই সময় আমরা যদি কোন কাজ করি তাহলে সেটার প্রতি আমাদের একেবারে অন্য রকম আকর্ষণ সৃষ্টি হয়।
উপরের নিয়ম গুলো সম্পূর্ণ রুপে প্রয়োগ করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক আসক্তি থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে পারেন।
বিঃদ্রঃ এই আর্টিকেলটির মূল উদ্দেশ্য আপনাকে ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তি দেওয়া। মোটেও আপনাকে ফেসবুক বিদ্বেষী করে তোলা নয়।