ছোট ও দুর্দান্ত ক্যামেরা আসছে
আকারে ছোট কিন্তু মানের দিক থেকে দুর্দান্ত- এমন ক্যামেরা আসছে নিকট ভবিষ্যতে। আগেরকার সময়ে ক্যামেরার আকার তুলনামূলক বড় ছিল, কিন্তু ডিজিটাল এই যুগে ক্যামেরা ছোট হয়ে এসেছে। এমনকি স্মার্টফোনে যেসব ছোট আকারের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়, মানের দিক থেকে অনেক ক্ষেত্রে এগুলো বড় আকারের ক্যামেরার দিক থেকে কোনো অংশে কম না।
ক্যামেরার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ও অন্যান্য বিষয়াবলি
১৯৪৮ সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয় পোলারয়েড ক্যামেরা, যা দ্বারা মাত্র এক মিনিটে ছবিকে নেগেটিভ ইমেজ থেকে পজিটিভ ইমেজে রূপান্তর করা সম্ভব হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর অ্যানালগ ক্যামেরার রাজত্ব চলার পর ১৯৭৫ সালে কোডাকের স্টিভেন স্যাসোন প্রথম ডিজিটাল ক্যামেরা উদ্ভাবন করেন। এভাবেই আজ ক্যামেরা মানুষের হাতের মুঠোয়।
অকল্যান্ড ভিত্তিক পেশাদার ফটোগ্রাফার এবং ডিজিটাল ফটোগ্রাফির ওপর লেখা ৩০টিরও বেশি বইয়ের লেখক টম অ্যাং বলেছেন, “২০ বছর আগে ৭,১১০ ডলার দিয়ে যে মানের ক্যামেরা কিনেছিলাম; তার চেয়ে অনেক ভালো মানের ক্যামেরা বর্তমানের স্মার্টফোনেই আছে, যেগুলোতে খুব উচ্চমানের চিত্র ধারণ করা যায়।” আর বহু ফিচার সমৃদ্ধ এসব স্মার্টফোনের দামও প্রচলিত ক্যামেরার চাইতে তুলনামূলক অনেক কম।
তবে এখন গবেষকরা ক্যামেরার আকার ছোট করার পাশাপাশি মানের দিক থেকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোনে ডিএসএলআর মানের উন্নত ক্যামেরা যুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েও তারা পর্যালোচনা করছেন। এ ক্ষেত্রে ক্যামেরার লেন্স, আকার ও ওজন কামানোও গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোন ক্যামেরা ব্যবহার করার সময় কেউ জুম করতে চাইলে লেন্সটিকে বর্ধিত করতে হয়। তাছাড়া নকশা ঠিক রাখাটাও জরুরি। তাই লেন্স প্রযুক্তির পাশাপাশি ক্যামেরার ফিচারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসবে অদূর ভবিষ্যতে। বর্তমান বাজারে এমন কিছু স্মার্টফোন এসেছে যার ক্যামেরা আকারে অনেক ছোট কিন্তু পারফর্মেন্স ডিএসএলআর এর থেকে কোনো অংশেই কম নয়।
কানাডার অন্টারিওর স্কোপ ফোটোনিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান লসলেস জুম প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছবি ধারণ করা নিয়ে কাজ করছে। তারা চাচ্ছে, এর মাধ্যমে দূর থেকে কাছে জুম করে টেনে এনে তোলা ছবি যেনো খুব নিখুঁত ও ঝকঝকে ধারণ করা যায়।
প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ হোল্ডেন বেগস এবং তার দল লিক্যুয়েড ক্রিস্টাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্যামেরার উন্নয়ন নিয়ে কাজ করছে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে এলসিডি পর্দা বানানো হয়, যা আমরা টিভির পর্দায় দেখতে পাই।
জেমস ডাইসন অ্যাওয়ার্ডের (২০২০) আন্তর্জাতিক রানার আপ স্কোপ ফোটোনিক্স প্রথমে চিকিৎসা ডিভাইসে লেন্স প্রযুক্তির প্রোটোটাইপ করছে এবং তিন বছরের মধ্যে এই লেন্সগুলো স্মার্টফোন ক্যামেরায় নিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এর মাধ্যমে জুম ১০ গুণ বেশি হবে।