শিক্ষা

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল

হাতের লেখা মানুষের ব্যক্তিত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুন্দর লেখা কেবল পড়তে সুবিধা দেয় না, বরং এটি প্রেজেন্টেশনে এবং ব্যক্তিগত নোট বা অফিসের কাজেও প্রভাব ফেলে। অনেকেই মনে করেন, সুন্দর লেখা শুধু স্বাভাবিক প্রতিভার ওপর নির্ভর করে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি শেখা সম্ভব নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল শেখার মাধ্যমে আপনি নিজের লেখা আরও পরিশীলিত, সমান এবং মনোহর করে তুলতে পারেন। এই লেখায় আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়, কিভাবে লেখাকে দ্রুত করা যায়, এবং প্র্যাকটিসের জন্য কোন খাতা ও টিপস ব্যবহার করা উচিত।
হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল: প্র্যাকটিস
হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল শেখার মূল বিষয় হলো নিয়মিত প্র্যাকটিস। ধীরে ধীরে অক্ষর লিখে শুরু করুন। অক্ষরের আকার সমান রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। Writing drills বা অক্ষর পুনরাবৃত্তি ব্যবহার করলে হাতের লেখা আরও নিখুঁত হয়। প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট প্র্যাকটিস করলে অক্ষরের আকার এবং স্টাইলে দ্রুত উন্নতি আসে। প্র্যাকটিস করার সময় শব্দের মাঝে সমান দূরত্ব রাখুন এবং লাইন অনুসরণ করুন। ধৈর্য ধরে প্রতিদিনের প্র্যাকটিস করলে কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তা ধাপে ধাপে শেখা সম্ভব এবং হাতের লেখা ধীরে ধীরে আরও সুন্দর ও সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে।

 

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল: প্র্যাকটিস

Contents hide

১. সঠিক পেন্সিল বা কলম নির্বাচন

সুন্দর হাতের লেখার প্রথম ধাপ হলো সঠিক পেন্সিল বা কলম যাচায়-বাছায় করা। একটি ভালো মানের পেন্সিল বা কলম নির্বাচন করুন যা আপনাকে আরামদায়ক অনুভব করাবে। বলপয়েন্ট কলম, জেল পেন, বা ফাউন্টেন পেনের মধ্যে আপনি যেটিতে সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ব্যবহার করুন।
২. সঠিক কাগজের ব্যবহার

কাগজের মানও হাতের লেখার ওপর প্রভাব ফেলে। ভালো মানের কাগজ ব্যবহার করুন যা মসৃণ এবং স্থির থাকে। কাগজের গ্রিড বা লাইনগুলি আপনার হাতের লেখার মান বজায় রাখতে সহায়তা করবে।

৩. সঠিক বসার ভঙ্গি

 

লেখার সময় সঠিক ভঙ্গিতে বসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিঠ সোজা রেখে বসুন এবং কাগজটি এমনভাবে রাখুন যাতে এটি আপনার শরীরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকে।

৪. হাত ও আঙুলের পজিশন

হাত ও আঙুলের সঠিক পজিশন হাতের লেখাকে সুন্দর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলমটি সঠিকভাবে ধরে রাখুন এবং হাতের কব্জি ও আঙুলের চাপ কম রাখুন। লেখার সময় হাতের গতি মসৃণ ও নিয়ন্ত্রিত রাখার চেষ্টা করুন।

৫. ধীরে ধীরে লেখার অভ্যাস

ধীরে লেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তাড়াহুড়ো করে লেখার ফলে হাতের লেখা খারাপ হয়ে যেতে পারে। প্রতিটি অক্ষরকে পরিপূর্ণভাবে লিখুন এবং প্রতিটি লাইনে সমানভাবে মনোযোগ দিন।

৬. নিয়মিত অনুশীলন

প্রতিদিন কিছু সময় নিয়মিত অনুশীলন করুন। অনুশীলনের সময় বিভিন্ন ধরনের স্ট্রোক ও অক্ষর লিখুন। কপি বুক বা অনুশীলন বই ব্যবহার করে প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট অনুশীলন করলে হাতের লেখা সুন্দর হতে পারে।

৭. ক্যালিগ্রাফির মৌলিক ধারণা

ক্যালিগ্রাফির মৌলিক ধারণা জানা থাকলে হাতের লেখা আরো সুন্দর করতে সহায়ক হতে পারে। ক্যালিগ্রাফি শৈলীর কিছু ধারণা এবং কৌশল শিখে নিতে পারেন, যা আপনার হাতের লেখাকে দিতে পারে এক বিশেষ মাত্রা।

৮. ধৈর্য্য ধরে অনুশীলন

হাতের লেখা সুন্দর করতে ধৈর্য্যই মোক্ষম বিষয়। আপনি যদি এক বা দুই দিন অনুশীলন করার পরেই হাল ছেড়ে দেন, তাহলে কোনো উন্নতি লক্ষ্য করতে পারবেন না। তাই ধৈর্য্য ধরে প্রতিদিন অনুশীলন করুন।

পরিক্ষার খাতায় লেখার গুণগত মান উন্নয়নে কিছু ম্যাগনেটিক টিপসঃ

৯. বিভিন্ন হাতের লেখা শৈলী অনুশীলন

বিভিন্ন হাতের লেখা শৈলী অনুশীলন করুন। ব্লক লেটার, কার্সিভ, বা ফ্যান্সি স্টাইলের মধ্যে আপনি যেটি পছন্দ করেন সেটি অনুশীলন করতে পারেন। প্রতিটি শৈলী অনুশীলন করার ফলে আপনার হাতের লেখা আরো বৈচিত্র্যময় ও আকর্ষণীয় হবে।

১০. আদর্শ মডেল অনুসরণ

কিছু আদর্শ মডেল অনুসরণ করুন। আপনি যদি কারোর হাতের লেখা পছন্দ করেন, তাহলে তার লেখা কপি করার চেষ্টা করতে পারেন। এটা আপনার হাতের লেখার গুণমান উন্নত করতে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

১১. লেখার গতি নিয়ন্ত্রণ

লেখার গতি নিয়ন্ত্রণ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। খুব দ্রুত বা খুব ধীরে লেখা উভয়ই হাতের লেখাকে খারাপ করতে পারে। তাই একটি মধ্যম গতি বজায় রাখার চেষ্টা করুন।

১২. যথাযথ আলো

যথাযথ আলোতে লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা, পর্যাপ্ত আলোতে লিখলে হাতের লেখা স্পষ্ট ও সুন্দর হবে। আলো কম থাকলে হাতের লেখার মান খারাপ হয়ে যেতে পারে। এই ছিল কিছু বেসিক তথ্য হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল সম্পর্কে।

হাতের লেখা দ্রুত করার কৌশল

হাতের লেখা দ্রুত করার কৌশল

সুন্দর লেখা শেখার পাশাপাশি, লেখার গতি বাড়ানোও প্রয়োজন। হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল এর মধ্যে লেখা দ্রুত করার কিছু কৌশলও রয়েছে। হাতের স্থিতি ঠিক রাখলে এবং কলম ধরে লিখলে লেখা দ্রুত হয়। প্রয়োজনীয় শব্দ এবং বাক্যে সংক্ষিপ্তকরণ প্রয়োগ করুন। হাতের গতি বাড়াতে হলে, ধীরে ধীরে প্র্যাকটিস করা উচিত। প্রতিদিন অল্প সময় ধরে দ্রুত লেখা অনুশীলন করুন, এতে হাতের অক্ষর এবং শব্দের ধরন দুইই সমান থাকে। ধৈর্য ধরে প্র্যাকটিস করলে, দ্রুত লেখা হলেও লেখা সমান ও সুন্দর থাকে, যা হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল শেখার অংশ।

প্র্যাকটিসের খাতা ও টিপস

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো প্র্যাকটিসের খাতা এবং টিপস। সঠিক খাতা ব্যবহার করলে লেখা সমান এবং নিখুঁত হয়। গ্রিড বা লাইনযুক্ত খাতা সবচেয়ে কার্যকর। প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট প্র্যাকটিস করলে অক্ষরের আকার এবং স্টাইলের consistency বজায় থাকে। ছোট টার্গেট নির্ধারণ করুন; প্রথমে অক্ষর, পরে শব্দ এবং শেষে বাক্য। প্রতিদিন নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে হাতের লেখা ধীরে ধীরে সুন্দর ও পড়ার জন্য আরামদায়ক হয়। হাতের লেখা সুন্দর করার খাতা নির্বাচন করলে লেখার গতি এবং সমতা আরও উন্নত হয়।

লেখার ধরন ও স্টাইল

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল এর মধ্যে স্টাইল ও consistency গুরুত্বপূর্ণ। নিজের লেখার ধরন বা ফন্ট তৈরি করুন। বিভিন্ন ফন্ট এবং স্টাইল অনুশীলন করলে হাতের লেখা আরও নিখুঁত হয়। প্রতিদিন একই স্টাইল বজায় রাখলে লেখা আরও সুন্দর এবং সমান হয়। লেখার স্টাইল উন্নয়নের মাধ্যমে শুধু লেখার রূপই পরিবর্তিত হয় না, বরং পড়ার সুবিধা ও আকর্ষণও বাড়ে। নিয়মিত প্র্যাকটিস এবং consistency বজায় রাখলে, কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তা সহজে শেখা সম্ভব।

হাতের লেখা ব্যক্তিত্বকে কীভাবে প্রভাবিত করে?

হাতের লেখা একজন ব্যাক্তির ব্যক্তিত্ব ও মনের অবস্থা সম্পর্কে অনেক কিছুই প্রকাশ করতে পারে। গ্রাফোলজি নামক একটি শাস্ত্র আছে যা হাতের লেখা বিশ্লেষণ করে মানুষের ব্যক্তিত্ব ও আচরণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে। হাতের লেখার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং সেগুলো কীভাবে ব্যক্তিত্বকে প্রভাবিত করে তা নিচে সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা করা হলো:

১.লেখার আকারঃ

    • বড় হাতের লেখা: সাধারণত বড় হাতের লেখা সম্পন্ন ব্যক্তিরা উদারমনা, আত্মবিশ্বাসী এবং সামাজিক হন। তারা সহজে মানুষকে আকর্ষণ করতে পারেন।
    • ছোট হাতের লেখা: ছোট হাতের লেখা সম্পন্ন ব্যক্তিরা কাজের প্রতি অতি মনোযোগী স্বভাবের মানুষ হয়ে থাকেন। তারা সাধারণত অন্তর্মুখী ও নিজের মধ্যে থাকতে পছন্দ করেন।

২. লেখার চাপঃ

    • জোরে চাপ: শক্তভাবে চাপ দিয়ে লেখার অভ্যাস আছে যাদের, তারা আবেগপ্রবণ, দৃঢ়চেতা এবং জেদি হতে পারেন।
    • হালকা চাপ: হালকা চাপ দিয়ে যারা লেখে, তারা সংবেদনশীল, নম্র এবং সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন।

৩. লেখার ঢালঃ

    • ডানদিকে ঢালু: ডানদিকে ঢালু দেওয়া লেখা সাধারণত সামাজিক, মানুষকে ভালোবাসে এবং বন্ধুবৎসল ব্যক্তির নির্দেশক।
    • বামদিকে ঢালু: বামদিকে ঢালু লেখা সম্পন্ন ব্যক্তিরা সাধারণত অন্তর্মুখী, ব্যক্তিগত বিষয়ে গোপনীয়তা পছন্দ করেন।
    • সোজা লেখা: সোজা লেখা সম্পন্ন ব্যক্তিরা বাস্তববাদী, যুক্তিবাদী এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত মনোভাবের হয়ে থাকেন।

৪. লেখার মধ্যবর্তী ফাঁকা স্থানঃ

    • শব্দগুলির মধ্যে বেশি ফাঁকা: বেশি ফাঁকা জায়গা রাখা লোকেরা স্বাধীনচেতা, অন্যের ওপর নির্ভর করতে চায় না।
    • শব্দগুলির মধ্যে কম ফাঁকা: কম ফাঁকা জায়গা রাখা ব্যক্তিরা বন্ধুত্বপূর্ণ, মানুষের সাথে থাকতে পছন্দ করেন এবং সামাজিক যোগাযোগে দক্ষ।

৫. লেখার সামঞ্জস্যঃ

    • সমানভাবে লেখা: লেখা সমান হলে, এটি নির্দেশ করে যে ব্যক্তি পরিকল্পিত, সুশৃঙ্খল এবং ব্যালেন্সড।
    • অসমান লেখা: লেখা অসমান হলে, তারা নিজস্ব পরিবর্তনশীল মেজাজ ও অভ্যন্তরীণ উদ্বেগের নির্দেশ আরোপ করতে পারে।

হাতের লেখা মানুষ সম্পর্কে একটি সামগ্রিক ধারণা দিতে পারে, তবে একে বিজ্ঞান এর দিক থেকে কিছুটা বিতর্কিত বিষয়। এটা অনেকাংশে পর্যবেক্ষণ ও অনুমানের ওপর নির্ভর করে। তবুও, হাতের লেখার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য এবং ব্যক্তিত্বের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে পেতে সাহায্য করে। উপরের লেখার ধরনের সাথে যদি আপনার হাতের লেখার মিল পেয়ে যান, তবে নিমিশেয় বুঝতে পারবেন আপনি কেমন ব্যাক্তিত্বের মানুষ। সেক্ষেত্রে আপনার হাতের লেখা যদি ভালো ও পরিষ্কার হয়ে থাকে তবে আপনি বেশিরভাগ সময় ফ্রেশ মাইন্ডে থাকেন। আপনি একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী, বহির্মুখী স্বভাবের মানুষ। আপনার সুন্দর হাতের লেখা আপনার মানসিক সৌন্দর্যের প্রতীক। আপনি একজন সহানুভূতিশীল, আবেগপ্রবণ এবং স্বজ্ঞাত ব্যক্তি।

পরিক্ষার খাতায় লেখার গুণগত মান উন্নয়নে কিছু ম্যাগনেটিক টিপসঃ

নিচের উল্লেখিত বিষয়গুলো মূলত তাদের জন্য যারা হাতের লেখার গুনগত মান উন্নত করতে চান। এমন কি শিক্ষক বা পরীক্ষক যেন পরীক্ষার খাতা সহজে বুঝতে পারেন এবং সুন্দর হাতের লেখার প্রশংসা করেন। সেই ভাবে পরিক্ষার খাতায় লিখতে নিচের কৌশলগুলো অনেকটা কাজে দিবে।

১. লেখার সময় নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা রাখুন

    • দুইটি শব্দের মধ্যবর্তী দূরত্ব: প্রতিটি শব্দের মধ্যে পর্যাপ্ত ফাঁকা রাখুন যাতে লেখাটি পরিষ্কার এবং সহজে পড়া যায়।
    • প্রতিটি লাইনের মধ্যবর্তী দূরত্ব: লাইনগুলির মধ্যে সঠিক ফাঁকা রাখুন যাতে লেখাটি দেখতে সুশৃঙ্খল এবং আকর্ষণীয় হয়।

২. আকর্ষণীয় মার্জিন টানুন

  • খাতার ধারে সুন্দর ও সুষম মার্জিন টানুন। নীল রঙের সাইন-পেন বা পেন্সিল দিয়ে দুই পাশে মার্জিন তৈরি করুন। এটি খাতার সৌন্দর্য বাড়ায় এবং লেখাটি পরিষ্কার দেখায়।

৩. লেখার সময় নীল কালির ব্যবহার করুন

  • দুই রঙের কালি ব্যবহার করুন। বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্যগুলো নীল কালি দিয়ে লিখুন। এতে শিক্ষক সহজেই গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি চিনতে পারেন।

৪.  আন্ডারলাইন করুন

  • লেখার সময় প্রথমে কালো কালি দিয়ে পুরো লেখাটি শেষ করুন। এরপর গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্যের নিচে নীল কালি দিয়ে দাগ টেনে দিন। এতে পড়তে সুবিধা হয়।

৫. (”) এর ব্যবহার

  • গুরুত্বপূর্ণ শব্দ বা বাক্যগুলিকে (”) এর মধ্যে লিখুন। এটি শিক্ষক বা পরীক্ষকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি সহজে বোঝা যায়।

৬. পয়েন্ট করে লিখুন

  • পয়েন্ট আকারে লিখুন। এটি লেখাকে গঠনমূলক এবং সুনির্দিষ্ট করে তোলে। শিক্ষক সহজেই আপনার যুক্তিগুলো বুঝতে পারবেন।

৭. অনুচ্ছেদ আকারে লিখুন

    • প্রতিটি পয়েন্ট আলাদা অনুচ্ছেদে লিখুন। বিশেষ করে বাংলা ১ম ও ২য় পত্রের ক্ষেত্রে পয়েন্ট করে লেখা না গেলেও, অনুচ্ছেদ আকারে সাজালে লেখাটি আকর্ষণীয় হয়।

লেখার সময় প্রাসঙ্গিক উদাহরণ ব্যবহার করুন

৮. লেখার সময় প্রাসঙ্গিক উদাহরণ ব্যবহার করুন

      • প্রাসঙ্গিক উদাহরণ দিন। এতে আপনার লেখা বিষয়টি বোঝানো সহজ হয় এবং লেখার গুনগত মান বৃদ্ধি পায়।

৯. একটানে কাটা দিয়ে ভুল সংশোধন করুন

        • কোন শব্দ বা বাক্য ভুল হলে সেটিকে হিজিবিজি করে না কেটে, একটি হালকা দাগ দিয়ে কেটে দিন। এতে লেখাটি সুন্দর থাকে এবং কাটাকাটির অংশটি দৃষ্টিকটু হয় না।

এই কৌশলগুলো অনুসরণ করলে হাতের লেখা পরিষ্কার, আকর্ষণীয় এবং শিক্ষকদের জন্য সহজপাঠ্য হবে। সুন্দর হাতের লেখা পরীক্ষার ফলাফলেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এখন আপনার হাতের লেখা যদি অতিরিক্ত ধীর গতি সম্পন্ন হয় তবে জেনে নিতে পারেন হাতের লেখা দ্রুত করার কৌশল

সুন্দর হাতের লেখা একটি শিল্প। যা সময় ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। উপরের কৌশলগুলো নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনার হাতের লেখা সুন্দর হতে বাধ্য। তাই প্রতিদিন একটু সময় নিয়ে কৌশলগুলো মেনে চলুন এবং সুন্দর হাতের লেখায় নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলুন। সর্বপরি একটা কথাই বলব, ধৈর্য্য, নিয়মানুবর্তিতা এবং অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল মাত্র আপনি আপনার হাতের লেখা সুন্দর করতে পারবেন। এবং সকলের দৃষ্টি আকর্ষন করতে পারবেন আপনার লেখার সুন্দর করার মাধ্যমে। আশা করি হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশলগুলো খুব ভালো ভাবেই জানাতে পেরেছি।

ইংরেজিতে ভালো করার ১০ টি গোপন কৌশল

Conclusion / উপসংহার

হাতের লেখা সুন্দর করার কৌশল হলো সঠিক প্র্যাকটিস, ভালো খাতা এবং কলম ব্যবহার করা। নিয়মিত প্র্যাকটিস করলে হাতের লেখা দ্রুত এবং সুন্দর করা সম্ভব। প্রতিদিন অল্প সময় ধরে অক্ষর এবং শব্দ অনুশীলন করুন। ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে, আপনার লেখা পড়তে আরামদায়ক, সমান এবং আকর্ষণীয় হয়। সঠিক কৌশল এবং consistency বজায় রাখলে, কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তা শিখে ধীরে ধীরে নিখুঁত লেখা অর্জন করা সম্ভব।

FAQs

হাতের লেখা সুন্দর করার খাতা কোনটি ভালো?

সুন্দর লেখা শেখার জন্য খাতা বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। লাইনযুক্ত বা গ্রিড খাতা ব্যবহার করলে অক্ষরের আকার সমান রাখা সহজ হয়। প্রতিদিনের প্র্যাকটিসের জন্য মাঝারি পুরুত্বের খাতা ব্যবহার করা ভালো। সঠিক খাতা ব্যবহার করলে লেখা ধীরে ধীরে আরও সুন্দর এবং পড়ার জন্য আরামদায়ক হয়। এটি হাতের লেখা সুন্দর করার খাতা-র অন্যতম মূল টিপস।

হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় কী?

হাতের লেখা দ্রুত করার জন্য হাতের স্থিতি এবং কলম ধরার ধরন ঠিক রাখা প্রয়োজন। অপ্রয়োজনীয় গতি এড়িয়ে ধীরে ধীরে প্র্যাকটিস করা ভালো। Writing drills এবং সংক্ষিপ্তকরণ ব্যবহার করলে লেখা দ্রুত হলেও সমান থাকে। এটি হাতের লেখা দ্রুত করার উপায় কি শেখার জন্য কার্যকর একটি কৌশল।

হাতের লেখা সুন্দর করার উপায় কী কী?

নিয়মিত প্র্যাকটিস, সঠিক কলম ও খাতা ব্যবহার, এবং Writing drills করা হল প্রধান হাতের লেখা সুন্দর করার উপায়। প্রতিদিন ১৫–২০ মিনিট সময় দিয়ে অক্ষর, শব্দ এবং বাক্য লিখলে লেখার আকার এবং সমতা উন্নত হয়। এছাড়া হাত ও কব্জির সঠিক অবস্থান বজায় রাখলে লেখা আরও সুন্দর হয়।

লেখা সুন্দর করার উপায় কী কী

Writing drills, ধীরে লেখা, এবং অক্ষরের আকার সমান রাখা হল প্রধান লেখা সুন্দর করার উপায়। সঠিক কলম এবং মসৃণ খাতা ব্যবহার করলে লেখা আরামদায়ক হয়। প্রতিদিন প্র্যাকটিস করলে হাতের লেখা ধীরে ধীরে নিখুঁত এবং সহজে পড়ার মতো হয়।

কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায়?

নিজের লেখার স্টাইল তৈরি করা, নিয়মিত প্র্যাকটিস করা এবং Writing drills ব্যবহার করা হলো প্রধান ধাপ। প্রতিদিন অল্প সময় ধরে লিখলে অক্ষরের আকার ও সমতা উন্নত হয়। ধৈর্য ধরে চেষ্টা করলে কিভাবে হাতের লেখা সুন্দর করা যায় তা সহজেই শেখা সম্ভব।

Related Articles

4 Comments

  1. Thanks I have recently been looking for info about this subject for a while and yours is the greatest I have discovered so far However what in regards to the bottom line Are you certain in regards to the supply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!