WordPress কি ও এর ব্যবহার এবং সুবিধা
কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোন বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাই ব্লগিং। বর্তমানে অনেকেই এটিকে পেশা হিসেবে গ্রহন করেছে। কেননা, এটি লাভজনক একটি পেশা। এই কাজ করার জন্য ব্যবহার করতে হয় একধরনের ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে হয়। ইদানিং নানান ধরনের ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম দেখা যায়। খুব সম্প্রতি ২০০৩ সালে একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি ও ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে। যেটি ব্লগারদের কাছে অনেকটায় জনপ্রিয় হয়েগেছে। সেই প্ল্যাটফর্ম এর বিত্তান্তই আজকের আলোচেনার বিষয়। তো এতক্ষনে হয়তো বুঝতে পেরেছেন আজকের আলোচনার বিষয় কি নিয়ে হতে পারে। হ্যা, আজকে আমরা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানব। এটি কী? এটি কেন ব্যবহার করে? কিভাবে ব্যবহার করে এবং এর সুবিধা অসুবিধা গুলো কি কি? তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক।
WordPress কি ?
প্রথমে আমাদের জানা দরকার WordPress আসলে কি। WordPress হলো বর্তমানের সেরা ও জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম। যেটির সাহায্য মুলত নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করে তাতে ব্লগিং করা যায়। অর্থাৎ, এটি দিয়ে ওয়েবসাইটও তৈরি করা যায় আবার কন্টেন্টও লেখা বা তৈরি করা যায়। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েব প্রকাশনার জন্য ২০০৩ সালে তৈরি করা একটি সাইট। যা আপনি একটি সুন্দর ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে ব্যবহার করতে পারেন।
ওয়ার্ডপ্রেস সাধারনত ২ প্রকারের হয়ে থাকে। যথাঃ WordPress.com এবং WordPress.org। WordPress.com হলো ২.০ ওয়েবসাইট। এটিতে একটি কন্ট্রোল পেনেল ও সাবডোমেইন থাকে। সবাই এখানে ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারে। অর্থাৎ, যেকেউ ইচ্ছা করলেই এখানে ওয়েবসাইট খুলতে পারে। কিন্তু সমস্যা হলো এটি ফ্রি সাইট হওয়ায় এখানে তেমন কিছু কাস্টমাইজেসনের সুযোগ থাকে না।
WordPress এর ব্যবহার
এটি মূলত ব্লগিং সাইট হিসেবেই বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। অর্থাৎ WordPress.org তে ব্লগিং করা হয়ে থাকে। ওয়ার্ডপ্রেস বলতে আমরা সাধারনত এটিকেই বুঝে থাকি।
আপনি ইন্টারনেটে যেসব ওয়েবসাইট দেখেন তার ৪০% -ই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে পরিচালিত। উদাহরনস্বরূপ, আমরা যেসব সাইটে ঘুরাঘুরি করি সেসব সাইটের ১০ টির মধ্যে ৪ টি সাইটই ওয়ার্ডপ্রেস দ্বারা পরিচালিত হয়। বাকি ৬ টি সাইট অন্যান্য যেসকল ওয়েবসাইট মার্কাপ প্ল্যাটফর্ম আছে সেসকল প্ল্যাটফর্ম দিয়ে তৈরি। কিন্তু কেন এতো অধিক সংখ্যক মানুষ ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে। সেটি জানতে হলে আমাদের এটির সুবিধা সমূহ সম্পর্কে অবগত হবে হবে।
WordPress ব্যবহারের সুবিধাসমূহ
আসলে ওয়ার্ডপ্রেসের সুবিধার পরিধি অনেক বড়। এর সুবিধার দিক গুলো বলে শেষ করা যাবে না। তন্মধ্যে প্রধান সুবিধা গুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো।
১. ওয়ার্ডপ্রেস একটি ওপেনসোর্স CMS হওয়ায় এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ, এটি ব্যবহারের জন্য আলাদা করে কোন অর্থ ব্যয় করতে হয় না। ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে ওয়েবসাইট তৈরি করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো কোডিং সম্পর্ক পর্যাপ্ত
২. ওয়ার্ডপ্রেস সহজ এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস হওয়ায় কোন অদক্ষ ব্যক্তিও খুব সহজেই এটা ব্যবহার করতে পারে।
৩. ওয়ার্ডপ্রেসের অসংখ্য থিম রয়েছে এবং প্লাগিন এর ফ্রি ডাইরেক্টরি বিধায় ব্যবহারকারির কাজকে করে তলে দ্রুত। এটি ব্যবহার করায় কাজ হয়ে ওঠে অধিক সহজ এবং অনেকটায় গতিময়।
৪. ব্লগসাইট, বিজনেস সাইট, ই-কমার্স সাইটসহ বিভিন্ন ওয়েব এপ্লিকেশন সাইট অথবা যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায় ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে।
৫. ওয়ার্ডপ্রেসে অসাধারন একটি টেক্সট এডিটর থাকায় ব্যবহারকারি একক সময়ে ভিজুয়াল এবং HTML ভিউতেই লিখতে পারেন।
৬. খুব সহজেই লেখার মাঝে ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি যুক্ত করা যায়। কেননা, এটিতে আছে বিল্ট-ইন মিডিয়া আপলোডার যার মাধ্যমে অতি সহজে ব্লগের মধ্যে ছবি, অডিও, ভিডিও সংযুক্ত করা যায়।
৬. ব্যবহারকারির ওয়েবসাটকে সুন্দর এবং সহজ করে তুলতে ওয়ার্ডপ্রেসে রয়েছে ইউজার ফ্রেন্ডলি নেভিগেশন সিস্টেম।
৭. ব্যবহারকারি ওয়েবসাইটটিকে খুব সহজেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটের সাথে যুক্ত করতে পারবে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে। যার ফলে ওয়েবসাইটটি তুলনামূলক তাড়াতাড়ি ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
৮. এটি সম্পূর্ণ SEO ফ্রেন্ডলি CMS হওয়ার কারনে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ব্যবহারকারির ওয়েবসাইট প্রথমের দিকে সো করবে। যার ফলে ব্যবহারকারির সাইট থাকবে এক ধাপ এগিয়ে।
৯. ইউআরএল স্ট্রাকচার নিয়ন্ত্রন করার ব্যবস্থা থাকায় ব্যবহারকারি তার নিজ ইচ্ছামতো এটাকে কাষ্টমাইজিং করতে পারবে। অর্থাৎ, ব্যবহারকারি তার চাহিদা অনুযায়ি তার সাইটকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
এছাড়াও এর আরো অনেকগুলো সুবিধা রয়েছে। যেগুলো বলে শেষ করা যাবে না। কারন সব সুবিধা তো আর এইভাবে হাতে গুনে গুনে বলা সম্ভব না। তাই ব্যবহার করে আপনার মতামত কমেন্ট সেকশনে জানাবেন ।