ই-কমার্স/ E-commerce থেকে নিরাপদে কেনাকাটার কৌশল
বাংলাদেশে অনলাইন শপিং দিন দিন আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ঘরে বসে অনেকেই এখন প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার সুবিধা গ্রহণ করছেন। তবে, ই-কমার্স/ E-commerce কেনাকাটার সঙ্গে সুবিধা থাকার পাশাপাশি কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিও রয়েছে। যেমন, ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ, আলেশা মার্ট এবং ধামাকা শপিংয়ের মতো প্রতিষ্ঠানগুলি লোভনীয় অফার দিয়ে গ্রাহকদের প্রায় ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।
নিরাপদে অনলাইন শপিং করার জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গাইডে, আমরা আলোচনা করব কীভাবে আপনি ই-কমার্স থেকে নিরাপদে কেনাকাটা করবেন।
ই কমার্স কি (What is E-commerce)
ই-কমার্স/ E-commerce বা ইলেকট্রনিক কমার্স হলো একটি ব্যবসায়িক প্লাটফর্ম যেখানে পণ্য ও সেবার বেচা-কেনা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। এটি গ্রাহকদের জন্য যেকোনো স্থান থেকে, যেকোনো সময় পণ্য বা সেবা কেনার সুবিধা প্রদান করে। E-commerce ব্যবসাগুলি সাধারণত ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। যার মাধ্যমে অনলাইন শপিং, ডিজিটাল পেমেন্ট, পণ্য শিপিং ও গ্রাহক সেবা সম্পন্ন করা হয়। এটি ভোক্তা এবং বিক্রেতার মধ্যে সহজে লেনদেনের একটি সুরক্ষিত মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। বাংলাদেশের মতো দেশে E-commerce দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ এটি সময় সাশ্রয়ী এবং সুবিধাজনক। তবে, এর সঙ্গে কিছু নিরাপত্তা ঝুঁকিও থাকতে পারে, তাই গ্রাহকদের সতর্কতার সাথে কেনাকাটা করা উচিত।
ই কমার্স এর গুরুত্ব (Importance of E-commerce)
ই-কমার্স/ E-commerce আজকের ডিজিটাল যুগে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক মডেল হিসেবে পরিচিত। এটি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি বৈশ্বিক বাজার তৈরি করে, যেখানে তারা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য বিক্রি করতে পারে। E-commerce ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের পণ্যকে বিশ্বের কাছে সহজে উপস্থাপন করতে সহায়তা করে এবং বিক্রির পরিধি বৃদ্ধি করে। এটি গ্রাহকদের কাছে ২৪/৭ সেবা প্রদান করে, যা ব্যবসার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে। E-commerce ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে। আমাদের সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় গার্মেন্টস সেক্টর থেকে। গার্মেন্টস সেক্টরের মত প্রণোদনা ও সুযোগ-সুবিধা এবং ট্রেনিং ইত্যাদি যদি ই কমার্স সেক্টরেও দেওয়া হয় তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে E-commerce খাত থেকেও বাংলাদেশে খুবই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারবে এবং তা বাংলাদেশের জন্য একটি রপ্তানিমুখী শিল্পে পরিণত হবে।
E-commerce সেক্টরের মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরেও ব্যবসা বাণিজ্যের বিস্তার লাভ করা যেতে পারে। যেমন গত কয়েক বছর ধরেই প্রান্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের আম চাষিদের মধ্যে অনেকেই তাদের আড়তদারদের কাছে আম বিক্রি না করে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে যেমন ফেসবুক ইত্যাদি ব্যবহার করে তারা তাদের আম বিক্রি করছে।
E-commerce খাত ব্যবহার করে এই ব্যবসায়ীরা তাদের আম বিক্রির মাধ্যমে একদিকে যেমন তাদের পণ্যের জন্য খুব ভালো দাম পাচ্ছেন এর পাশাপাশি শহরাঞ্চলের মানুষ ফরমালিনমুক্ত খাটি আম খেতে পারছেন। যদি ই-কমার্স সম্পর্কে মানুষকে আরো প্রশিক্ষণ ও সচেতন করে তোলা যায় এবং তা যথাযথভাবে পরিচালনা করা যায়, তবে একথা সুনিশ্চিতভাবে বলা যায় যে বাংলাদেশে ব্যবসার বিস্তারে, কর্মসংস্থানে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে E-commerce খাত বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করতে পারে। সুতরাং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং দেশের বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য ই কমার্স সেক্টর খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
ই-কমার্স/ E-commerce থেকে নিরাপদে কেনাকাটার
অনলাইন কেনাকাটা দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে, তবে নিরাপত্তার অভাবে প্রতারণার শিকার হওয়ার ঝুঁকিও রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিচের কৌশলগুলো অনুসরণ করতে পারেন:
- ওয়েবসাইটের কন্টাক্ট ইনফরমেশন, যেমন ফোন নম্বর বা ইমেইল ঠিকানা পরীক্ষা করুন। ডোমেইন নাম ভালোভাবে দেখুন। অনেক ভুয়া সাইট জনপ্রিয় সাইটের নাম নকল করে। যেমনঃ “amaz0n.com” (ভুয়া) বনাম “amazon.com” (আসল)।
- আপনার ই-কমার্স অ্যাকাউন্টে Two-Factor Authentication (2FA) চালু করার অপশন থাকলে চালু করে রাখুন। এটি পাসওয়ার্ড ছাড়াও OTP নিরাপত্তা দিয়ে সাহায্য করে।
- কোনো ওয়েবসাইট বা সেলার যদি অপ্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন জাতীয় পরিচয়পত্র বা ব্যাংকের পিন কোড চায়, তবে তা এড়িয়ে চলুন।
- যেকোন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন থেকে কেনাকাটার সময়, সেগুলোর জন্য দেওয়া অনুমতি (permissions) পরীক্ষা করুন। অপ্রয়োজনীয় অনুমতি দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ।
- ডেবিট/ ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সাইটি বিশ্বস্ত কিনা তা যাচাই করুন এবং মোবাইল পিন কোড সিস্টেমটি ব্যবহার করুন। যাতে লেনদেনের সময় ব্যাংক থেকে আসা যাচাইকরণ কোডটি ব্যবহার করে নিরাপদে লেনদেন করতে পারেন। এটি লেনদেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
- আপনার পেমেন্ট করার সময় সিকিউরড গেটওয়ে ব্যবহার করুন। যেমন PayPal, bKash, বা UPI.
- কিছু ওয়েবসাইট বা সেবা সাবস্ক্রিপশন ফি বা অতিরিক্ত চার্জ করতে পারে। কেনার আগে বিলিং বিবরণিটি ভালোভাবে পড়ুন।
- আপনার ব্রাউজারটি আপডেট রাখলে অনেক নতুন সিকিউরিটি ফিচার উপভোগ করতে পারবেন।
- প্রোডাক্টের রিভিউ যদি খুব বেশি খারাপ বা একই রকম হয়, তবে সতর্ক থাকুন।
- প্রতিটি প্রোডাক্ট কেনার পর ডিজিটাল রিসিট সংরক্ষণ করুন।
- সোশ্যাল মিডিয়াতে দেওয়া লিঙ্ক থেকে সরাসরি কেনাকাটা করবেন না। ভুয়া লিঙ্ক দিয়ে প্রতারণার সম্ভাবনা থাকে।
- এখন প্রায় সকল ই-কমার্স বিক্রেতাই তাদের পণ্য ক্যাশ অন ডেলিভারীর মাধ্যমে সেল করে থাকেন। তাই পণ্য হাতে পাওয়ার পূর্বেই অগ্রিম পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন।
- কুরিয়ার থেকে পণ্য রিসিভ করার সময় যদি বক্সটি ছেঁড়া, কাটা কিংবা ত্রুটিপূর্ণ দেখেন তবে সাবধান। পণ্যটি আনবক্সিং করার সময় অবশ্যই ভিডিও ধারণ করবেন।
- যে কোন পেজ/ ওয়েব সাইট থেকে অর্ডার করার পূর্বেই তাদের রিটার্ন পলিসি সম্পর্কে জেনে নিন।
- আপনি যদি একজন ই-কমার্স বিক্রেতা হয়ে থাকেন তবে www.efraudchecker.com প্লাটফর্মের মাধ্যমে খুব সহজেই ক্রেতার তথ্য যাচাই করে নিতে পারবেন।
ই কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধা (Advantage and Disadvantage of E commerce)
ই-কমার্সের প্রসার এবং জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও, এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা রয়েছে, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো বিশদভাবে আলোচনা করা হলো:
সুবিধা (Advantage of E-commerce)
- ই-কমার্স/ E-commerce ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে, অর্থাৎ গ্রাহকরা তাদের সুবিধামতো সময়ে পণ্য কিনতে পারেন। এতে যেকোনো সময় এবং স্থান থেকে কেনাকাটার সুযোগ রয়েছে, ফলে সরাসরি দোকানে গিয়ে পণ্য কেনার সীমাবদ্ধতা থাকছে না।
- ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ করতে পারেন। এটি দেশীয় ব্যবসায়ীদের বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ দেয়, যা বিক্রির পরিধি বাড়ায়।
- অনলাইন ব্যবসা পরিচালনার জন্য দোকান বা শোরুম খোলার প্রয়োজন হয় না, যার ফলে ব্যবসায়ীরা কম খরচে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। এতে ব্যবসায়ীদের কম খরচে ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ হয়।
- ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন পেমেন্ট পদ্ধতি (যেমন: Digital Wallets, Credit/Debit Cards, Mobile Banking and Cash on Delivery) ব্যবহার করা যায়। এতে গ্রাহকদের জন্য লেনদেন সুবিধাজনক ও সহজ হয়।
- অনলাইনে পণ্য নির্বাচন এবং বিভিন্ন বিক্রেতার মধ্যে পণ্যের দাম তুলনা করা সহজ হয়। গ্রাহকরা প্রয়োজনীয় তথ্য এবং রিভিউ দেখে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
- ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা তাদের গ্রাহক Base সহজেই বাড়াতে পারেন। অনলাইনে ব্যবসা করার ফলে তারা নতুন নতুন বাজার ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারেন এবং তাদের পণ্য বিশ্বব্যাপী বিক্রি করতে পারে।
- ই-কমার্সে গ্রাহকরা পণ্যের বিস্তারিত তথ্য, ছবি, এবং রিভিউ দেখতে পারেন। এটি তাদের পণ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেয় এবং কেনাকাটা করার সময় তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়।
- ই-কমার্সের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা অটোমেটেড সিস্টেম ব্যবহার করে পণ্য অর্ডার, পেমেন্ট এবং স্টক ম্যানেজ করতে পারেন। এতে সময় বাঁচে এবং অপারেশনাল ভুল কমে।
- অনলাইনে বিভিন্ন অফার, ডিসকাউন্ট, এবং উন্নত সেবা প্রদান করে ব্যবসায়ীরা গ্রাহকদের কাছে বিশ্বস্ততা অর্জন করতে পারেন। এটি তাদের বাজারে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সাহায্য করে।
- বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর সময় ই-কমার্স পদ্ধতি ব্যবসার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দোকান বন্ধ থাকার পরেও, ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে পণ্য কেনাবেচা চলতে থাকে। যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম সচল রাখতে সাহায্য করেছে।
অসুবিধা (Disadvantage of E commerce)
- ই-কমার্সে গ্রাহকরা পণ্য বাস্তবে দেখার সুযোগ পান না। তাই তারা শুধুমাত্র অনলাইন ছবির মাধ্যমে পণ্যের মূল্যায়ন করেন। অনেক সময় পণ্যটি আসল রূপে প্রতিফলিত না হওয়ার কারণে গ্রাহক হতাশ হন।
- অনলাইনে কেনাকাটা করার পর পণ্য ডেলিভারি হতে কিছু সময় নেয়। কখনো কখনো এই ডেলিভারি সময় অনেক দীর্ঘ হতে পারে এবং ডেলিভারি চার্জও বাড়তে পারে, যা গ্রাহকের জন্য আরেকটি সমস্যা তৈরি করে।
- অনলাইন লেনদেনের ক্ষেত্রে সাইবার আক্রমণ বা হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। এটি গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি বা তথ্যের অপব্যবহার ঘটাতে পারে।
- অনলাইন লেনদেনে অনেক সময় পেমেন্ট প্রসেসিং ত্রুটি বা বিলম্ব দেখা দেয়। এমনকি কিছু সাইটে পেমেন্ট করার পর টাকা কেটে নেয়া হলেও অর্ডার কনফার্মেশন পাওয়া যায় না। যা গ্রাহকদের জন্য হতাশাজনক হতে পারে।
- গ্রামীণ বা দূরবর্তী এলাকায় ইন্টারনেটের দুর্বল সংযোগ বা পেমেন্ট সিস্টেমের সমস্যা থাকতে পারে। ফলে ই-কমার্স সেবা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। এসব এলাকায় প্রযুক্তিগত বাধার কারণে ব্যবসা সম্প্রসারণে সমস্যা হতে পারে।
- অনলাইন পণ্য কিনলে, বিশেষ করে পোশাক বা ইলেকট্রনিক্সের ক্ষেত্রে, সেগুলি ফেরত দেওয়ার বা প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া অনেক সময় জটিল হতে পারে। এটি গ্রাহকদের জন্য বিরক্তিকর হয়ে উঠতে পারে।
- অনলাইনে অনেক সাইটে মিথ্যা বা সাজানো রিভিউ থাকতে পারে, যা গ্রাহকদের ভুল সিদ্ধান্তে পরিচালিত করতে পারে। এসব রিভিউ গ্রাহকদের পণ্য বা সেবা সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি করতে সাহায্য করে।
- অনলাইন শপিংয়ে সবসময় বিক্রেতার সুনাম বা বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। কিছু সাইটে প্রতারণার শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, যেখানে পণ্যের মান বা সেবার গুণগত মান একেবারেই অশ্রদ্ধাযোগ্য হতে পারে।
- ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে মাঝে মাঝে পণ্যের স্টক সমস্যা দেখা দেয়। কোনো পণ্য স্টকে না থাকলে বা ভুল তথ্য দেওয়া হলে গ্রাহকের অর্ডার বাতিল হতে পারে, যা তাদের অস্বস্তি সৃষ্টি করে।
- আন্তর্জাতিকভাবে পণ্য কেনার সময় শিপিং খরচ এবং শুল্ক সমস্যা হতে পারে, যা অনেক সময় অতিরিক্ত খরচের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এসব খরচ গ্রাহকদের জন্য অপ্রত্যাশিত হতে পারে।
উপসংহার
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা ই-কমার্স/ E-commerce কি? ই-কমার্স এর সুবিধা ও অসুবিধাগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। ই-কমার্স বর্তমান সময়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম যা প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কাজ করে। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা বিশ্বব্যাপী বৃহৎ অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে পারেন এবং গ্রাহকরাও ঘরে বসেই পছন্দের পণ্য বা সেবা কিনতে পারেন। যদিও ই-কমার্সের কিছু অসুবিধা রয়েছে, তবে সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই অসুবিধাগুলি দূর করা সম্ভব। সামগ্রিকভাবে, ই-কমার্সের প্রসার এবং উন্নয়ন বিশ্বের অর্থনীতিকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে এবং এর সম্ভাবনাও অনেক।
আরও পড়ুন: E-commerce ও F-commerce এর মধ্যে পার্থক্য