শিক্ষাঅন্যান্য

ফ্রিল্যান্সিংয়ে কোন কাজের চাহিদা বেশি

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি -বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বেশীরভাগ যুবক শ্রেণীর মানুষের চাহিদা হচ্ছে ফ্রিলান্সিং শিখে নিজের সুন্দর একটি ক্যারিয়ার শুরু করা। কিন্তু এখানে একটি বিষয় সব সময় খেয়াল করা যায় কোন কাজটি শিখতে পাড়লে খুব সহজেই এবং সারাজীবন ভালো ডিমান্ডে কাজ করা যায় সেটি জানা থাকেনা।

যদি জানা থাকেও তার পরেও কোন কাজ শিখবে এবং কোথায় শিখবে ও সেই সাথে কোন কোন যায়গায় কাজ করা যাবে এবং কিভাবে করা যাবে তার জন্য সুস্পষ্ট ধারণা থাকেনা বললেই চলে। তাই আপনি যদি সমস্ত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক বেশী যুক্তি যুক্ত এবং দরকারি হতে চলেছে।

এর কারণ হচ্ছে সমস্ত বিষয় বলে দেয়ার পাশাপাশি এমন কিছু লিঙ্ক অ্যাড করা থাকবে যা থেকে আপনি ফ্রিলান্সিং সম্পর্কে এমন কোন তথ্য নেই যে, শিখে নিতে পারবেননা। তাই এই আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়বেন তাহলেই সমস্ত বিষয় আপনার কাছে একদম সহজ হয়ে যাবে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক,

Contents hide
1 ফ্রিলান্সিং কি বা কাকে বলে ?

ফ্রিলান্সিং কি বা কাকে বলে ?

ফ্রিলান্সিং বলতে মুক্ত পেশাকে বুঝিয়ে থাকে। নিজের বাড়িতে বসেই কম্পিউটার ব্যবহার করে অন্য কোন একটি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়ে সেটিকে সম্পাদন করে দিয়ে টাকা ইনকাম করাকেই মূলত বলা হয় ফ্রিলান্সিং।

ধরুন আপনি একজন ফ্রিলান্সার এবং আপনি আমেরিকার একজনের একটি লোগো তৈরি করে দিলেন নিজের ঘরে বসেই। সেই লোগো তৈরি করে দেয়ার কারনে সেই আমেরিকার ব্যাক্তি আপনাকে কিছু ডলার বা টাকা দিয়ে দিলো।

আর এই প্রসেসকেই বলা হয়ে থাকে ফ্রিলান্সিং। ফ্রিলান্সিং এর কাজ যারা করে থাকে তাদেরকে বলা হয়ে থাকে ফ্রিলান্সার। চাইলে আপনি নিজেও একজন ফ্রিলান্সার হতে পারবেন।

ফ্রিলান্সার হতে চাইলে যথেষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় এবং নির্দিষ্ট যেকোনো একটি যায়গায় কাজ করতে হয়। আপনি পড়তে থাকুন ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু বিস্তারিতভাবে জানতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

দেখুন ফ্রিলান্সিং করার জন্য বিভিন্ন ধরণের কাজ রয়েছে। আমি যদি বলি যে আপনি ফ্রিলান্সিং এর জন্য হাজার ধরণের কাজ শিখতে পারবেন সেটি কিন্তু ভুল হবেনা।

এর কারণ হচ্ছে আমাদের দেশ সহ অন্যান্য দেশের মানুষ তাদের বেশীর ভাগ কাজ গুলো এখন অনলাইনে অন্যদের দিয়ে করিয়ে থাকে।

যেহেতু সব কাজ একজনের পক্ষে শেখা সম্ভব নয়, তাই আজ এমন কিছু কাজের কথা উল্লেখ করবো যেগুলো মধ্যে আপনি যেকোনো একটি যদি খুব ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন তাহলেই অনায়াসে ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারেবন।

ওয়েব ডিজাইন থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন আরও অনেক কাজ রয়েছে। চলুন দেখা যাক কোন কাজ কেমন এবং কোন কাজ কিভাবে শুরু করা যায় এবং আপনার জন্য কোন কাজটি সঠিক এবং সহজ হবে।

১। ওয়েব ডিজাইন

ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি তার মধ্যে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে চাহিদা সম্পন্ন কাজ গুলোর মধ্যে ওয়েব ডিজাইন একটি তাই এটিকেই প্রথমে রাখলাম। এখন যদি আপনার ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে কোন ধারণা না থাকে তাহলে কিন্তু এটি কোনো ভাবেই শিখতে পারবেন না।

তাই প্রথমেই ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে পরিপূর্ন ধারণা নিয়ে নিতে হবে কিন্তু তার পূর্বে ওয়েব বা ওয়েব সাইট কি সেটি জানা জরুরী। ওয়েব বা ওয়েব সাইট হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি অ্যাপ বা অ্যাপ্লিকেশান যার মধ্যে বিভিন্ন ধরণের কনটেন্ট যুক্ত করা থাকে।

আপনি এই যে, আর্টিকেলটি পড়ছেন এটিও একটি ওয়েবসাইট। আরও যদি সহজ করে বলতে হয় তাহলে, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব প্রতিটি একএকটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব।

এই সমস্ত ওয়েবসাইট দেখতে কেমন হবে সেটির ডিজাইন তৈরি করাই হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন।

যেমন, একটি ওয়েবসাইটের লেখা গুলো কেমন হবে, ছবি কিভাবে দেখাবে, ভিডিও কিভাবে দেখাবে, হেডার কেমন হবে, ফুটার কেমন হবে এই সমস্ত কিছুই মূলত ডিজাইনের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে।

এই ওয়েবসাইট গুলো যারা ডিজাইন করে থাকে তাদেরকে বলা হয় ওয়েব ডিজাইনার।

তাই আপনি চাইলে একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে ফ্রিলান্সিং এর কাজ করতে হবে। এখানে আবার কিন্তু রয়েছে সেটি হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন শিখতে হলে প্রগ্রামিং সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা থাকে হবে।

ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা বেশী হওয়ার কারণ

বর্মতান আধুনিক বিশ্বের প্রায় সমস্ত কিছু ধীরে ধীরে টেকনোলোজির আওতায় চলে এসেছে এবং আগামীতে আরও আসবে আর তারই প্রতিফলনে আমাদের দেশ সহ বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের মার্কেটিং এবং ব্যবহার প্রসার করার জন্য বেঁছে নিচ্ছে অনলাইন মাধ্যেম আর তার জন্য দরকার হচ্ছে ওয়েবসাইট।

যদি উদারহণ দেয়া হয় তাহলে বাংলাদেশী ই-কমার্স ওয়েবসাইট দারাজ এর কথা বলা যাবে। দারাজ তাদের ওয়েবসাইট থেকে লাখ লাখ টাকার পন্য বিক্রি করছে প্রতিনিয়ত।

শুধু দারাজ নয় এর মত সারা পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ওয়েব সাইট যুক্ত হচ্ছে ইন্টারনেট দুনিয়াতে। তার ওয়েবসাইট ডিজাইনের চাহিদা পৌঁছে গিয়েছে অনেক উর্ধে। এর চাহিদা থাকবে ততদিন যতদিন দুনিয়াতে টেকনোলোজি থাকবে।

আশা করি বুঝে গিয়েছেন ওয়েব ডিজাইনের চাহিদা কেমন এবং ভবিষ্যতে কেমন হতে পারে। তাই আপনি ওয়েব ডিজাইন শিখে নিজের ক্যারিয়ার কে সুন্দর করে নিতে পারেন।

ওয়েব ডিজাইন কোথায় শিখব

এক সময় ওয়েব ডিজাইন শেখার জন্য আমাদের দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ট্রেনিং করাতো। এখন যে করায়না সেটি কিন্তু বলা যাবেনা। আপনি চাইলে দেশের যেকোনো একটি ভালো আইটি সেন্টার থেকে খুব সহজেই ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখে নিতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি ব্যাস্ত মানুষ হয়ে থাকেন বা ঢাকার মধ্যে থেকে ভালো কোন আইটি সেন্টারে যাওয়া সম্ভব নয় তখন কি করবেন? টেকনোলোজির যেহেতু উন্নয়ন হয়েছে তাই এটি নিয়েও চিন্তার কিছু নেই।

আপনি চাইলে ঘরে বসে আপনার ব্যবহার করা কম্পিউটার দিয়েই অনলাইন একটি কোর্স কিনে নিয়ে অনায়াসে ওয়েব ডিজাইন শিখে নিতে পারবেন। এখন অনলাইনে অনেক ভালো কোর্স পাওয়া যায়।

আইটি সেন্টারে গিয়ে কোর্স করলে আপনার অনেক টাকা ব্যয় হবে কিন্তু কোর্স কিনে নিলে তেমন বেশী টাকা খরচ হবেনা। তাই আপনার উচিৎ হবে নিজের ঘরে বসে ফ্রি সময়ে ওয়েব ডিজাইন শিখে নেওয়া।

২। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

একটি ওয়েব সাইটকে ডিজাইন করার পরের ধাপ হচ্ছে ডেভেলপমেন্ট করা। ধরুন আপনি একটি বিল্ডিং এর নকশা ডিজাইন করে দিলেন কিন্তু সেই বিল্ডিং এর ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করা হলো না তাহলে কি কোন লাভ হবে? হবেনা কিন্তু

ঠিক তেমনি একজন ওয়েব ডিজাইনার যখন একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দেয় বা তৈরি করে দেয় তার পরের যে কাজ থাকে সেটি হচ্ছে ওয়েব সাইটকে ডেভেলপমেন্ট করা।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বিষয়টি কি? সাধারণ ভাবে উদারহন দিলে, আপনি যখন ফেসবুক ব্যবহার করেন তখন কিন্তু আপনি ছবি অ্যাড করতে পারেন, লাইক দিতে পারেন, কমেন্ট করতে পারেন, মেসেজ করতে পারেন।

এই যে, বিষয় গুলো ঘটে থাকে সেটি কিন্তু ডেভেলপমেন্ট না করলে সম্ভব নয়। তাই একজন ওয়েব ডিজাইনার এর যেমন অনেক বেশী ডিমান্ড পাশাপাশি একজন ওয়েব ডেভেলপারের অনেক বেশী ডিমান্ড।

কারণ ওয়েব ডিজাইনার ওয়েব সাইট ডিজাইন করে দেয় আর সেই ওয়েব সাইট একজন ডেভেলপার ডেভেলপমেন্ট করে দেয়। আপনি যখন ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শিখবেন প্রথমেই আপনাকে ডিজাইন শিখে নিতে হবে।

৩। গ্রাফিক ডিজাইন

গ্রাফিক ডিজাইন বলুন আর গ্রাফিক্স ডিজাইন বলুন বিষয়টা আসলে কি সেটি বুঝতে হবে। এই যে আপনি যে টি শার্ট বা শার্ট গায়ে দিয়ে বসে আছেন সেটি নিন্তু এমনি এমনি তৈরি হয়নি। সেটিকে প্রথমে একজন ডিজাইনার ডিজাইন করেছে এবং পরে সেটিকে তৈরি করা হয়েছে হুবহু একই ভাবে।

এটি কিন্তু শুধু শার্টের ক্ষেত্রে নয় আমাদের ব্যবহার করা প্রায় সমস্ত বস্তুর মধ্যেই ডিজাইন রয়েছে। আপনি হয়ত কারো কাছে থেকে তার ভিজিটিং কার্ড পেয়ে থাকবেন। সেই কার্ডটি কেমন হবে সেটি কিন্তু ডিজাইন করেই তৈরি করা হয়েছে।

এই যে আপনি মোবাইল বা কম্পিউটার যেটিই ব্যবহার করুন না কেন সেটির কিন্তু প্রথমে ডিজাইন করা হয়েছে। রাস্তায় চলার সময় আমাদের চোখে বিভিন্ন ধরণের ব্যানার চোখে পরে আর এই সমস্ত ব্যনার গুলো ডিজাইন করেছে একজন গ্রাফিক ডিজাইনার।

বিভিন্ন কোম্পানির লোগো সহ সমস্ত কিছুই তৈরি করা হয়ে থাকে ডিজাইনের মাধ্যমে। যদি উদাহরন দেয়া হয় তাহলে আই ফোনের কামড় দেয়া আপেলকে দেখুন সেটি কত পপুলার।

এখন যদি বলা হয় তাহলে কোনো কিছু একটি ডিজাইন তৈরি করে দেয়ার নামই হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি সেই সমস্ত কাজের মধ্যে গ্রাফিক এর চাহিদা অনেক উর্ধে।

গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা বেশী হওয়ার কারণ

আপনি যদি খেয়াল করেন দেখতে পাবেন পৃথিবীতে যত গুলো প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের প্রত্যেকের পরিচিতি লাভের জন্য আলাদা আলাদা চিনহু রয়েছে যেটিকে লোগো হয়ে থাকে।

আর দিন যত যাবে নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে এবং সাথে সাথে দরকার হবে নতুন নতুন ডিজাইনের সব লোগো। শুধু যে লোগো সেটি কিন্তু মোটেও ঠিক নয়, উপরে যে বিষয় গুলো উল্লেখ করা হয়েছে তার ডিমান্ড কিন্তু সারাজীবন থেকেই যাবে।

আমাদের দেশের এমন ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা শুধু লোগো ডিজাইন করে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে। চাইলে আপনি নিজেও গ্রাফিক ডিজাইন শিখে অনায়াসে ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আপনি যদি একবার কাজ শিখতে পারেন তাহলে কোন দিন পিছে ফিরে তাকাতে হবেনা কারণ গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা সব যায়গায় সর্বদা থেকেই যাবে। অনলাইন ভিত্তিক যে কাজ বলুন সেই কাজের জন্য দরকার লোগো।

মোটর সাইকেল থেকে শুরু করে কোটি টাকার গাড়ি তৈরি হয়ে থাকে গ্রাফিক ডিজাইনাদের করা ডিজাইন দেখে। আর এখন সমস্ত ডিজাইন দেশ এবং দেশের বাইরের ফ্রিলান্সার দের দিয়ে অন্যরা করিয়ে নেয়।

তাই হতে পারে আপনার জন্য সফল একটি পেশা। দেরি না করে এখনই শিখতে পারেন গ্রাফিক ডিজাইন।

যেভাবে শিখবেন, আপনার ভালো মানের একটি কম্পিউটার দরকার হবে এবং ট্রেনিং করেতে হবে ভালো একটি আইটি সেন্টার থেকে। আপনি চাইলে নিজে নিজে ইউটিউব থেকে সহজেই গ্রাফিক ডিজাইন শিখে নিতে পারেন।

৪। ডিজিটাল মার্কেটিং

বর্তমানে ফ্রিলান্সিং পেশার জগতে ডিজিটাল মার্কেটিং অনেক ডিমান্ডফুল একটি পেশা। কারণ হচ্ছে আপনার যেকোনো প্রতিস্টান থাকতে পারে তার কিন্তু মার্কেটিং দরকার হবেই।

যেকোনো একটি কোম্পানির প্রসার ঘটে মার্কেটিং এর মাধ্যমেই। যদি মার্কেটিং করা না হয় তাহলে কিন্তু কোনো ভাবেই কোনো কোম্পানি উঠে দাঁড়াতে পারেনা। আমাদের দেশ শহ অন্যান্য সমস্ত দেশের সকল কোম্পানি গুলো তাদের পন্যের বা সেবার প্রচার করে থাকে অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে।

আপনি যখন ফেসবুক ব্যবহার করেন তখন দেখবেন আপনার চাহিদার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরণের অ্যাড দিয়ে থাকে এবং আনার যদি ইচ্ছে হয় সেই পন্য বা সার্ভিস নিয়ে থাকেন।

ইউটিউব ব্যবহার করার সময় প্রতিটি ভিডিওতে নানা রকম অ্যাড প্রদান করে থাকে। এগুলো হচ্ছে মার্কেটিং করার ডিজিটাল এক মাধ্যম।

যদি সহজ ভাষায় বলা হয় অনলাইন বা ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো একটি কোম্পানির পন্য অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করাকেই ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে এই প্রতিযোগিতার সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার ডিমান্ড প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

অধিক চাহিদা এবং আপনাকে কেনো কাজ দিবে?

যেহেতু এখন ইন্টারনেটের যুগ চলছে সেক্ষেত্রে ব্যবসা গুলোর বা কোনো পন্যের মার্কেটিং এখন ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করেই হয়ে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। প্রায় সমস্ত অনলাইন মাধ্যমে এখন অ্যাড দেখা যায় বিভিন্ন পন্যের এবং সার্ভিসের।

এই যে অ্যাড গুলো দেখে থাকি এগুলো একজন প্রফেশনাল মার্কেটার দিয়ে করিয়ে নেয় অনেক বড় বড় কোম্পানি। কারণ এটি কোনো লোকাল মাধ্যম নয় যে ব্যানার লাগিয়ে দিলাম আর মানুষ চিনলো।

অনলাইনে সঠিক পন্য সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া অনেক কষ্ট সাধ্য ব্যাপার। প্রতিনিয়ত যেহেতু অনলাইনে ব্যবসার প্রসার হচ্ছে তাই ডিজিটাল মার্কেটিং পেশার ডিমান্ড প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে আপনাকে দিয়ে কেনো কাজ করাবে? তাহলে শুনুন এই অনলাইন মাধ্যমে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই প্রফেশনাল হয়ে চলতে হবে না হলে বেশীদিন টিকে থাকা যাবেনা।

আপনি যদি প্রফেশনাল ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ গুলো করতে পারেন তাহলে আপনাকে দিয়েই কাজ গুলো করিয়ে নিবে। সঠিক পন্য সঠিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া অনেক বড় কঠিন ব্যপার।

সব কোম্পানির একজন প্রফেশনাল নিয়োগ দিয়ে থাকে এই কাজের জন্য। তাই আনি নিজেই একজন প্রফেশনাল হয়ে কাজ গুলো অনায়াসে করতে পারবেন। মনে রাখবেন এখন অনেক প্রতিযোগিতার সময়।

তাই যে কাজ শিখবেন সেটি মনোযোগ দিয়েই শিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি

যেভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শিখবেন

আপনি অনলাইন থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর ভালো একটি কোর্স করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে ফেসবুক মার্কেটিং কোর্সটি করতে পারেন কারণ এখন সমস্ত মার্কেটিং ফেসবুক ভিত্তিক হয়ে উঠছে।

ডিজিটাল মার্কেটিং এমন কোনো কঠিক কাজ নয়। আপনি ইউটিউব থেকে ভিডিও দেখে নিজে নিজেই মার্কেটিং শিখে নিতে পারবেন। আপনাকে কিন্তু প্রথমেই অনেক বেশী ক্রিয়েটিভ হতে হবেনা।

কিন্তু আপনি ধীরে ধীরে যত বেশী অভিজ্ঞ হতে পারবেন তত বেশী কাজ পাবেন এবং বেশী কাজ মানেই বেশী ইনকাম। আপনি একটু সময় ব্যয় করলেই এই কাজ শিখে নিতে পারবেন বলে আশ করছি।

৫। কনটেন্ট রাইটিং

কনটেন্ট রাইটিং বলতে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করাকে বোঝানো হয়ে থাকে। বর্তমানে কনটেন্ট রাইটিং পেশার অনেক বেশী ডেমান্ড রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। অনেক ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা ঘন্টা প্রি $250 ডলার নিয়ে থাকে।

আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার হতে পারেন তাহলে অতি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয় নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিজে কনটেন্ট রাইটিং করার মাধ্যমে গুগল অ্যাড থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

কনটেন্ট রাইটিং শেখার জন্য আপনাকে আলাদাভাবে কোনো কোর্স করার দরকার নেই। আপনি ইউটিউব থেকে নিজে নিজেই শিখে নিতে পারবেন। যেমন আমি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট রাইটার আর আমি সমস্ত কিছু নিজে নিজে ইউটিউব থেকে শিখে নিয়েছি।

তাই আপনি চাইলে এই পেশাটি বেঁছে নিতে পারেন নিজের ক্যারিয়ার হিসাবে।

৬। এসইও এক্সপার্ট

বর্তমান সময়ে ফ্রিলান্সিং পেশা গুলোর মধ্যে এসইও অনেক বেশী ডিমান্ডফুল কারণ প্রতিটি কোম্পানির কনটেন্ট গুলোকে এসইও করতে হয়। প্রথমেই একটু এসইও সম্পর্কে ধারনা দেয়া যাক।

এসইও বলতে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজকে বোঝায়। অর্থাৎ কোন একটি কনটেন্ট কে অপ্টিমাইজ করে গুগলের প্রথম পেজে র‍্যাংক করানোকে মূলত এসইও বলে থাকে। গুগলে সবাই র‍্যাঙ্ক করাতে চায় তাই এই কাজের দাম অনেক বেশী।

আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারলে শুধু যে ফ্রিলান্সিং করেই ইনকাম করতে হবে সেটি কিন্তু না। আপনি চাইলে নিজে এক্সপার্ট হওয়ার পর অন্যদের কাজ শিখিয়ে ইনকাম করতে পারবেন।

বর্তমানে যদি ফাইবারে সার্চ করা হয় তাহলে দেখা যায় প্রতিটি প্রফেশনাল এসইও এক্সপার্ট প্রতি ঘন্টায় $100 ডলার করে পেমেন্ট নিয়ে থাকে। চাইলে আপনি নিজেও সেই পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।

এর জন্য আপনাকে অনেক সময় ব্যয় করে কাজ শিখে নিতে হবে। এই কাজ অনেক বেশী কঠিন তাও কিন্তু নয়। গুগল এবং ইউটিউব থেকেই আপনি এসইও শিখে নিতে পারবেন। তাছাড়াও আপনি চাইলে ভালো একটি ট্রেনিং সেন্টার থেকে কাজ শিখে নিয়ে অনায়াসে ইনকাম করতে পারবেন।

৭। ভিডিও এডিটর

ভিডিও এডিটর কি সেটি আমরা কম বেশী সবাই জানি। মূলত কোনো একটি ভিডিওকে এডিটিং করে প্রস্তুত করাকেই ভিডিও এডিটিং বলা হয়ে থাকে। ধারনা করা হয় বর্তমান সময়ে যে পরিমাণ ভিডিও এডিটর দরকার তার মাত্র ৫ থেকে ১০% এর কম রয়েছে।

তাই আজ ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস থেকে ভিডিও এডিটররা মাসে লাখ টাকার বেশী ইনকাম করছে। বর্তমান মার্কেট প্লেসে যে পরিমাণ ভিডিও এডিটরের চাহিদা রয়েছে আপনার কাজ পেতে কোনো ধরণের সমস্যার মধ্যে পরতে হবেনা।

শুধু নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে কারণ ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস এমন এক জায়গা যেখানে সব সময় প্রফেশনাল দের চাহিদা বেশী হয়ে থাকে।

যুক্ত রাষ্ট্রে এমন অনেক ফ্রিলান্সার রয়েছেন যারা ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ফ্রিলান্সিং করে প্রতি বছরে $১,২২,০০০ ডলার ইনকাম করে থাকে। তাহলে ভেবে দেখুন এই পেশার বর্তমান সময়ে ডিমান্ড কেমন।

একসময় অ্যাডভারটাইজিং থেকে শুরু করে প্রেজেন্টেশন সমস্ত কাজ করা হতো লেখা অথবা ব্যনার এর মাধ্যমে কিন্তু এখন সেগুলো করা হয়ে থাকে ভিডিওর মাধ্যমে। দিন যত যাচ্ছে এই কাজের চাহিদা তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তাই আপনি নিজেকে একজন প্রফেশনাল ভিডিও এডিটর হিসাবে প্রস্তুত করতে পারলে ফ্রিলান্সিং সহ অন্যান্য সব কাজ করে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

৮। ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট

ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট বলতে অনলাইনে কোনো একটি কোম্পানির আন্ডারে থেকে সেই কোম্পানির কাওকে বা কোনো একটি টিমকে সাহায্য করা। কোভিড মহামারির পর থেকেই ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর চাহিদা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে।

আপনি চাইলে ইংরেজিতে ভালো অভিজ্ঞ হয়ে কোনো একটি কাজ শিখে একটি বা একাধিক কোম্পানির আন্ডারে থেকে কাজ করতে পারেন। কারণ এই কাজে জন্য ঘন্টা চুক্তি হয়ে থাকে।

আপনার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে কোনো একটি কোম্পানি আপনাকে নিয়োগ দিবে। ফ্রিলান্সিং পেশার দিকে খেয়াল করলে দেখা যায় আমাদের দেশে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট এর জব কেও করতে চায়না।

তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনি আপনার অভিজ্ঞতা দিয়ে ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি উপরে যে সমস্ত কাজ বর্ননা করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে দুই একটা কাজ খুব ভালোভাবে শিখে নিতে পারেন।

যেমন আপনি যদি কনটেন্ট রাইটিং শিখতে পারেন তাহলে এমনিতেই এসইও শিখে নিতে পারবেন। তাই দেরি না করে নিজের স্কিলকে বৃদ্ধি করে এখনই কাজে লেগে পরুন।

অধিক চাহিদা হওয়ার কারণ

অনেক সময় দেখা যায় সঠিক সময়ে সঠিক অভিজ্ঞ মানুষ পাওয়া অনেক বেশী কষ্ট হয়ে যায়। তাই অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ফ্রিলান্সার দের দিয়ে কাজ গুলো করিয়ে থাকে।

এখন যেহেতু অনলাইন এর যুগ তাই কাওকে হায়ার করতে তেমন বেশী কষ্ট করতে হয়না। তাই আপনি চাইলে নিজেকে কোনো একটি কাজে অভিজ্ঞ হিসাবে তৈরি করে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে গড়ে তুলতে।

৯। ভাষা ট্রান্সলেটর

অনলাইনে ফ্রিলান্সিং মার্কেট প্লেস গুলোতে হাজার হাজার জব পোস্ট করা হয় এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় ট্রান্সলেটর করার জন্য। এই কাজের জন্য শুধু আপনাকে কয়েক দেশের ভাষা শিখে নিতে হবে।

আপনার কাজ থাকবে শুধু এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় কনভার্ট করে টেক্সট আকারে বা ভিডিও আকারে তৈরি করে দেয়া। আপনি শুধু ভাষা জানতে পারলেই এই কাজ করে লাখ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

আপনাকে আপনার যে বায়ার থাকবে সে একটি ভাষা দিয়ে দিবে সেই ভাষা থেকে তার নিজস্ব ভাষায় পরিবর্তন করে দিতে হবে। আপনি যদি ৪ থেকে ৫ টি ভাষা শিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি ফ্রিলাসিং করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

ভাষা ট্রান্সলেটর অধিক চাহিদার কারণ

দেখুন পৃথিবীতে মোট ১৯৫টি দেশ রয়েছে এবং প্রতিটি দেশের ভাষা আলাদা আলাদা। যদিয় ইংরেজি কমন একটি ভাষা তার পরেও কিন্তু সব দেশের মানুষের ভাষা ইংরেজি নয়।

আপনি যদি একটু খেয়াল করে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন আমাদের দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা সরাসরি অন্য দেশের সাথে অনলাইন যুক্ত হয়ে ব্যবসা করে থাকে এবং এই ব্যবহার জন্য তাদের কিন্তু সেই দেশের ভাষা জানতে হয়।

এখন যদি কোরিয়ার একজন বায়ার কোরিয়ান ভাষা ছাড়া কথা বলতে না পারে তাহলে উপায় কি হবে? অবশ্যই একজন বানলাদেশি কাওকে হায়ার করতে হবে যে কোরিয়ার ভাষা সম্পর্কে অনেক বেশী অবগত রয়েছে।

ঠিক তেমনি অনলাইন ক্ষেত্রে একই অবস্থা। ব্যবসা বলুন বা অন্য কোনো কাজের জন্য বলুন এক দেশের ক্লান্টের সাথে অন্য দেশের ক্লায়েন্ট যোগাযোগ করে থাকে এবং তাদের দরকার হয় অন্য ভাষা জানা কোন একজন ফ্রিলান্সারের।

আপনি যদি ফ্রিলান্সার বা ফাইবার ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে থাকেন তাহলে দেখতে পাবেন অসংখ্য জব পোস্ট করা হচ্ছে শুধু ভাষা পরিবর্তন করার জন্য। আর এই পেশার চাহিদা বর্তমানে অনেক উর্ধে।

তাই আপনি চাইলেই কিন্তু এই পেশাটি বেঁছে নিতে পারেন।

১০। ডাটা এন্ট্রি

এই সময়ের ফ্রিলান্সার দের মধ্যে জনপ্রিয় কাজ গুলোর মধ্যে ডাটা এন্ট্রি একটি কাজ। ডাটা এন্ট্রি কাজ গুলো অনেক বেশী কঠিন না হওয়াতে যে কেও চাইলে শিখে নিয়ে অনায়াসে ফ্রিলান্সিং করে নিজেকে ফ্রিলান্সার হিসাবে গড়ে তুলতে পারবেন।

ডাটা এন্ট্রি কাজ আসলে কি? ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন একটি প্রতিষ্ঠানের কাজের ডকুমেন্ট গুলো হার্ড কপি বা কাগজে লেখা থাকবে আর সেই হার্ড কপিকে কম্পিউটার ব্যবহার করে এক্সেল বা ওয়ার্ড শিটে করে জমা করে দিতে হবে।

এই কাজ খুব সহজেই শিখে নেওয়া সম্ভব। শুধু আপনাকে মনে রাখতে হবে বর্তমান যেহেতু অনেক বেশী প্রতিযোগিতার যুগ তাই আপনাকে অবশ্যই ভালো কোন ট্রেইনারের কাছে কাছে প্রতিটি স্টেপ বুঝে নিয়ে কাজ শিখে কাজ করতে হবে।

আপনি যদি ডাটা এন্টির কোর্স করতে পারেন তাহলে আপনাকে আর কোনো সময় পিছে ফিরে তাকাতে হবেনা। এখন কথা হচ্ছে আপনি কোর্স কোথায় পাবেন?

অনেকেই রয়েছেন নিজের সময় বেড় করে ট্রেনিং সেন্টার থেকে কোর্স করতে পারেনা আবার অনেকে অধিক টাকা খরচ করে ট্রেনিং সেন্টার থেকে কোর্স করে ফ্রিলান্সার হতে চায়। অনেকে হয় আবার অনেকে ব্যার্থ হয়।

তাই সব ঝামেলা থেকে মুক্ত হয়ে আপনি কম টাকায় অর্থাৎ মাত্র ৯৫০ টাকা খরচ করেই নিজের ঘরে সময় সুযোগ বুঝে ডাটা এন্ট্রির কাজ শিখে ফ্রিলান্সিং করতে পারবেন। আপনার সুবিধার জন্য একটি লিঙ্ক দিয়ে দিচ্ছি যেখান থেকে আপনি সহজেই কোর্স করে ফ্রিলান্সার হতে পারবেন।

১১। সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট

আমাদের মধ্যে বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ব্যবহার করেনা এমন মানুষ পাওয়া যায়না বললেই চলে। আমাদের কাজের জন্য বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হয়।

বিভিন্ন ধরণের কাজে বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ঠিক তেমনি দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা তাদের নিজস্ব কাজের জন্য সফটওয়্যার গুলোকে ফ্রিলান্সারদের দিয়ে ডেভেলপ করিয়ে থাকে।

শুধু তাই নয় যদি কোনো সময় তাদের সফটওয়্যার গুলো আপডেট করতে হয় বা কোনো এরর দেখা দেয় তাহলে সেটিকে আপডেট করার জন্য প্রগ্রামার বা সটওয়্যার ডেভেলপার হায়ার করতে হয়।

যদিও ওয়েব ডিজাইনার এবং গ্রাফিক ডিজাইনার অধিক বেশী রয়েছে কিন্তু সফটওয়্যার ডেভেলপার আমাদের দেশে খবই কম। আপনি চাইলে এই পেশাকে বেঁছে নিতে পারেন।

অনেক হাই ডিমান্ড জব গুলোর মধ্যে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট একটি। একজন চাইলেই কিন্তু নিজেকে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসাবে তৈরি করতে পারেনা কারণ হচ্ছে এই কাজ কেও ৬ মাসা বা ১ বছরে শিখতে পারেনা তাকে ধীর্ঘ দিন ধরে চেষ্টা করে যেতে হয়।

এর কারণ হচ্ছে সফটওয়্যার তৈরি করার জন্য বা ডেভেলপ করার জন্য অনেক ধরণের প্রগ্রামিং ভাষা জানতে হয়। যেমন C, C++, Java, Php, Python ইত্যাসি।

কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ বছর ব্যয় করার পর একজন নিজেকে সফটওয়্যার ডেভেলপার হিসাবে প্রস্তুত করতে পারে। যদি কেও এইসএসসি বা অনার্স প্রহম বছরের ছাত্র হয়ে থাকে তাহলে সে এই ক্যারিয়ার বেঁছে নিতে পারে।

কম্পিউটার সায়েন্স এর স্টুডেন্ট হলে তার কোনো চিন্তা নেই। সাধারণ কেও যদি সফটওয়্যার ডেভেলপার হতে চায় তাহলে সে শিখতে পারে কিন্তু তার থাকতে হবে শেখার মত প্রবল ইচ্ছা এবং অনেক সময়।

১২। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট

বর্তমানে স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেনা এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়না। আপনি যে মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করছেন সেই ফোনে কিন্তু আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপ গুলোকে ডাউনলোড করে রেখেছেন।

এখন কিন্তু ধীরে ধীরে সমস্ত কিছু মানুষের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাই এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশ এবং দেশের বাইরে অনেক কোম্পানি তাদের প্রতিষ্ঠানের সমস্ত কাজ গুলো অ্যাপ ব্যবহার করে করা শুরু করে দিয়েছে।

আর এই কাজের জন্য প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে অভিজ্ঞ সব অ্যাপ ডেভেলপার। চাইলে আপনিও হতে পারেন একন অ্যাপ ডেভেলপার এবং নিজেকে ফ্রিলান্সার হিসাবে গড়ে তুলে আয় করতে পারেন লাখ লাখ টাকা।

ফ্রিলান্সার ওয়েব সাইট ব্রাউজ করলে আপনি দেখতে পারবেন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর হাজার হাজার জব পোস্ট করা রয়েছে। আপনাকে শুধু কাজ কাজতে হবে বিড করতে হবে এবং কাজ করে দিয়ে টাকা নিয়ে নিতে হবে।

অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মত তেমন কঠিন কাজ নয়। আপনি চাইলে ১ বছরের মধ্যেই একজন প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভেলপার হতে পারবেন। তাই দেরি না করে নিজেকে একজন অ্যাপ ডেভেলপার হিসাবে গড়ে তুলে হয়ে উঠুন ফ্রিলান্সার।

শেষ কথা

আপনি হয়তো জেনে এবং বুঝে গিয়েছেন যে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি এবং কোন কাজ গুলো করতে পারলে আপনি খুব সহজেই নিজেকে একজন সফল ফ্রিলান্সার হিসাবে তৈরি করতে পারবেন।

শুনুন, আপনাকে একটি কথা সব সময় রাখতে হবে সেটি হচ্ছে ফ্রিলান্সিং এর কথা যত সহজে মুখে বলা যায় আসলে প্রফেশনাল জীবনে ততটা সহজ নয় কারণ এখন সময় হচ্ছে প্রতিযোগিতার।

আপনি নিজেকে যত বেশী প্রফেশনাল করে গড়ে তুলতে পারবেন তত বেশী এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। শুধু ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি জেনে বসে থাকলে কিন্তু কোন সময় আপনি ফ্রিলান্সিং এর কাজ করতে পারবেননা।

আপনার উচিৎ হবে ফ্রিল্যান্সিং কোন কাজের চাহিদা বেশি জানার পর নিজে যেটি করতে পারবেন সেটি বেঁছে নিয়ে কাজ শেখা শুরু করা। আপনি আজই একটি কোর্স কিনে নিয়ে ঘরে বসেই কাজ শুরু করে দিন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!