তথ্য প্রযুক্তি

হ্যাকিং কি? এবং হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়

আজ আমরা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী বিষয় নিয়ে আলোচনা করব—হ্যাকিং কি?। বর্তমান টেকনোলজির যুগে হ্যাকিং শব্দটি সকলের কাছেই পরিচিত। প্রায়ই আমরা শুনি যে কেউ বা কোন প্রতিষ্ঠান হ্যাকিং এর শিকার হয়েছেন, যা সাধারণ ব্যবহারকারী এবং প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। হ্যাকিং এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বা ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে লোকসান ঘটতে পারে। আপনারও ডিভাইস বা তথ্য হ্যাক হতে পারে, যা অস্বাভাবিক কিছু নয়। যতদিন পর্যন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুর্বলতা থাকবে, হ্যাকাররা প্রবেশ করতে পারবে। তাই হ্যাকিং থেকে রক্ষা পেতে হলে হ্যাকিং কি, এর প্রকারভেদ, এবং ডিভাইস সুরক্ষার কৌশল সম্পর্কে জ্ঞান থাকা আবশ্যক। শুধু জ্ঞানই যথেষ্ট নয়, সেগুলো নিয়মিতভাবে প্রয়োগ করাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এই আর্টিকেলে আমরা বিস্তারিতভাবে এই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।

হ্যাকিং কি

হ্যাকিং কি?

হ্যাকিং কি বোঝার জন্য এটি হলো এমন একটি কার্যকলাপ যেখানে কেউ বা কোনো গ্রুপ বেআইনিভাবে ডিজিটাল সিস্টেমে প্রবেশ করে। হ্যাকিং শুধুমাত্র কম্পিউটার বা ওয়েবসাইটের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি মোবাইল ফোন, ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সার্ভার, নেটওয়ার্ক এবং এমনকি IoT ডিভাইসেও ঘটতে পারে। হ্যাকারের মূল উদ্দেশ্য হতে পারে তথ্য চুরি, ফাইল পরিবর্তন, সিস্টেমে ক্ষতি বা নিজের স্বার্থ হাসিল করা। অনেক সময় হ্যাকাররা প্রোগ্রামিং ভাষা ব্যবহার করে বা নিজস্ব তৈরি সফটওয়্যার দিয়ে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ডিজিটাল যুগে হ্যাকিং কি বোঝা এবং তার প্রতিকার জানা ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত জরুরি।

হ্যাকিং এর ধরন

  • সফটওয়্যার হ্যাকিং: বিভিন্ন সফটওয়্যারের দুর্বলতা খুঁজে তা নিয়ন্ত্রণ বা ক্ষতি করার প্রক্রিয়া।

  • হার্ডওয়্যার হ্যাকিং: কম্পিউটার, সার্ভার বা অন্য ইলেকট্রনিক যন্ত্রের হার্ডওয়্যারে হস্তক্ষেপ করা।

  • ওয়েবসাইট হ্যাকিং: ওয়েবসাইটের নিরাপত্তা ব্যাহত করে তথ্য চুরি বা পরিবর্তন করা।

  • OS হ্যাকিং: অপারেটিং সিস্টেমের দুর্বলতা ব্যবহার করে সিস্টেমে প্রবেশ বা নিয়ন্ত্রণ।

  • ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক হ্যাকিং: মোবাইল, ল্যান্ডফোন, স্মার্ট ডিভাইস, ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, সিসিটিভি ক্যামেরা ইত্যাদি হ্যাক করা।

  • অন্যান্য হ্যাকিং: ছোট লিঙ্ক বা ভাইরাসের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কে প্রবেশ করা।

মুলত কোন প্রাকার বৈধ অনুমতি ছাড়া কোন ইলেক্ট্রনিক্স বা ডিজিটাল যন্ত্র ইত্যাদির ত্রুটি বের করে তা নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য ব্যবহার করাই হ্যাকিং এর মধ্যে পড়ে। কিন্তু বেশির ভাগ সময় হ্যাকারা কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজের দ্বারা অথবা নিজস্ব তৈরিকৃত প্রোগ্রাম ব্যবহার করে হ্যাক করে থাকে। তাই বলা যায় হ্যাকিং অনেক ধরনের হতে পারে।

কম্পিউটার হ্যাকিং কি

কম্পিউটার হ্যাকিং কি

কম্পিউটার হ্যাকিং কি বোঝার জন্য বলা যায় এটি হলো কম্পিউটার বা এর নেটওয়ার্কে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করা। হ্যাকাররা প্রায়শই প্রোগ্রামিং দক্ষতা বা নিজস্ব তৈরি সফটওয়্যার ব্যবহার করে তথ্য চুরি, ফাইল পরিবর্তন বা ধ্বংস করে। কম্পিউটার হ্যাকিং-এর ফলে ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংকিং ডেটা, ব্যবসায়িক নথি এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হুমকির মুখে পড়তে পারে। কম্পিউটার হ্যাকিং-এর প্রধান উদ্দেশ্য হতে পারে অর্থনৈতিক লোভ, রাজনৈতিক প্রভাব তৈরি, ব্যক্তিগত প্রতিশোধ বা সাইবার অপরাধ। ব্যবহারকারীদের উচিত শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করা, অ্যান্টিভাইরাস এবং VPN ব্যবহার করা, এবং অজানা লিংক বা ইমেইল এটাচমেন্টে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকা।

হ্যাকিং কতটা ভয়াবহ হতে পারে?

হ্যাকিং এর সংজ্ঞা যতটা না জটিল তার চেয়েও কঠিন বাস্তবে হ্যাকিং করা। আর তার চেয়েও কঠিন এর ভয়াবহতা। হ্যাকিং বিষয়টা কতটা ভয়ানক তা আমরা ধারনাও করতে পারবো না। এটি এতটাই মারাত্বক যে এটি একজন মানুষ, একটি প্রতিষ্ঠান তথা একটা দেশের জন্যও হুমকি স্বরূপ হতে পারে।

উদাহরনস্বরূপ আপনার প্রিয় মোবাইল ফোন বা কম্পিউটারের সকল তথ্য একজন হ্যাকার হ্যাকিং করতে পারে যা আপনি জানতেও পারবেন না। অর্থাৎ, আপনার অজান্তেই আপনার স্মার্ট ফোন, কম্পিউটার ইত্যাদি থেকে আপনার গোপনীয় তথ্য হ্যাক হতে পারে। এমন কি আপনার ব্যক্তিগত ব্যাংক এ্যাকাউন্টও হ্যাক হয়ে যেতে পারে একজন হ্যাকারের দ্বারা। আর আপনার এ্যাকাউন্টের সব টাকা চুরি হয়ে যেতে পারে। তো কিছুটা অনুমান কারতে পারছেন হ্যাকিং বিষয়টা কতটা মারাত্বক হতে পারে। কিন্তু চিন্তার বিষয় নেই। কোন একটা সিস্টেম ব্রেক করে হ্যাকিং করা অতটাও সহজ না। এক্ষেত্রে আপনাকে শুধু কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। তাহলেই চলবে। আর সেই বিষয়েও আজকে আমরা আলোচনা করব।

হ্যাকার কাদের বলা হয়?

হ্যাকার হলো সেই ব্যক্তি, যে কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক বা সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে এবং তা ব্যবহার করে। সব হ্যাকার খারাপ নয়; কিছু হ্যাকার বৈধভাবে কাজ করে, যেমন ইথিক্যাল হ্যাকার, যারা সফটওয়্যার কোম্পানির অনুমতিতে সিস্টেমের ত্রুটি চিহ্নিত ও সংশোধন করে। সাধারণত দক্ষ প্রোগ্রামাররাই হ্যাকার হিসেবে পরিচিত এবং তাদের বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতা অত্যন্ত উন্নত।

হ্যাকারের প্রকারভেদ

হ্যাকারের প্রকারভেদ

হ্যাকারদের সহজেই চিহ্নিত করারা জন্য হ্যাকারকে তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। হ্যাকারদের চিহ্নিত করা হয়ে থাকে মুলত হ্যাট বা টুপির মাধ্যমে। এটি করা হয়ে থাকে সহজেই যেন হ্যাকার দের বাছায় করা যায় সে জন্য। নির্দিষ্ট রঙের টুপি দ্বারা হ্যাকার দের নির্ণয় করা হয়। যথাঃ

১. White hat hacker
২. Grey hat hacker
৩. Black hat hacker

White hat hacker: অনেকেই মনে করে হ্যাকিং একটা খারাপ কাজ। কিন্তু হ্যাকিং করা খারাপ কাজ না যদি এটি বৈধ প্রক্রিয়ায় করা হয়। এটি যে বেআইনি কাজ না তার জলন্ত প্রমান হলো White hat hacker। কোন সিকিউরিটি সিস্টেমের ভিতরে যদি ত্রুটি থাকে তবে সেটি খুজে বের করা এবং তা সংসোধন করা এই হোয়াইট হ্যাট হ্যাকারদের কাজ। এই সিকিউরিটি সিস্টেমের অন্তর্ভূক্ত হতে পারে একটি কম্পিউটার, একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্কে্‌ একটি ওয়েব সাইট, একটি সফটোয়ার ইত্যাদি।

Grey hat hacker: এরা হচ্ছে দু মুখো সাপের মতো। দু মূখো সাপ বলার পেছনে কারন হলো এরা যখন একটি একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি গুলো বের করে তখন সে তার ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে। এই হ্যাকারা কি করবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে তার মন ঐ সময় কি চায় সেটার উপর। এরা চাইলে উক্ত সিকিউরিটি সিস্টেমের মালিককে এই ত্রুটি সম্পর্কে জানাতেও পারে আবার ইনফরমেশন গুলো দেখতে পারে। অথবা সিকিউরিটি সিস্টেমটি নষ্টও করতে পারে। কিংবা তা নিজের স্বার্থের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। বেশির ভাগ হ্যাকারাই এ ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।

Black hat hacker:  Black hat hacker-রাই সবচেয়ে ভয়ংকর হ্যাকার। এই ক্যাটাগরির হ্যাকারেরা কোন একটি সিকিউরিটি সিস্টেমের ত্রুটি বের করলে দ্রুত ঐ ত্রুটি কে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য ব্যবহার করে। এমন কি ঐ সিস্টেম নষ্ট করে দেয়। আবার বিভিন্ন ভাইরাস ঐ সিস্টেমে ছড়িয়ে দেয়। কিংবা পরবর্তীতে যেন ঐ সিকিউরিটি সিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে যেতে পারে।

হ্যাকিং করা কতটুকু ঝুকিপূর্ণ একজন হ্যাকারের জন্য?

অবৈধভাবে হ্যাকিং করা আইনের চোখে একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। এই ধরনের অপরাধের শাস্তি হতে পারে খুবই গুরুতর। অন্যের ক্ষতি সাধনের কারণে হ্যাকারদের কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হয়। তবে সব হ্যাকারকেই শাস্তি ভোগ করতে হবে এমন নয়। কেউ যদি বৈধভাবে সিকিউরিটি পরীক্ষা করে, অর্থাৎ ইথিক্যাল হ্যাকার হিসেবে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রযোজ্য হয় না। সাধারণত ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা এই ধরনের কঠোর শাস্তির জন্য দায়ী হয়।

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন অনুযায়ী হ্যাকিং সংক্রান্ত শাস্তি:
১. কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করলে, তিনি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড, অথবা সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, কিংবা উভয় শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
২. যদি অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হয়, তবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা জরিমানা, অথবা উভয় শাস্তি প্রযোজ্য হতে পারে।

ব্যাখ্যা: এই আইন অনুযায়ী হ্যাকিং বলতে বোঝায়—
ক. কম্পিউটার তথ্য ভাণ্ডারের তথ্য ধ্বংস, বাতিল, পরিবর্তন বা তার মূল্য/উপযোগিতা হ্রাস করা, অথবা
খ. নিজ মালিকানা বা অনুমতি ছাড়া কোনো কম্পিউটার, সার্ভার, নেটওয়ার্ক বা ইলেকট্রনিক সিস্টেমে প্রবেশ করে ক্ষতি সাধন করা।

এইভাবে আমরা বুঝতে পারি, হ্যাকিং কেবল একটি প্রযুক্তিগত কৌশল নয়, এটি আইনের দৃষ্টিকোণ থেকেও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সুতরাং সতর্ক থাকা অপরিহার্য।

কিভাবে হ্যাকিং প্রতিরোধ করবেন?

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায়?

আপনার ডিভাইস, সিস্টেম বা নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখতে হলে কিছু মৌলিক নিয়ম মানা খুবই জরুরি। সর্বদা বিশ্বাসযোগ্য এবং অনুমোদিত সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ডাউনলোড করা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, স্মার্টফোনের জন্য প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর ছাড়া অন্য কোনো উৎস ব্যবহার না করাই নিরাপদ। গান বা মুভি ডাউনলোডের ক্ষেত্রেও বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।

যদি কোনো সাইট পেইড সফটওয়্যার বিনামূল্যে অফার করে, তবে তা ডাউনলোড করা থেকে বিরত থাকা উচিত। কারণ এর মধ্যে হ্যাকারদের তৈরি ভাইরাস বা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে, যা আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাকিং করার সুযোগ দিতে পারে। অপরিচিত ব্যক্তির পাঠানো লিংকে কখনো ক্লিক করা ঠিক নয়। মেসেজ বা ইমেইলে থাকা লিংকের পেছনে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে।

ইমেইল হলো হ্যাকারদের ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে দেওয়ার প্রধান মাধ্যম। অনেক সময় ভাইরাস বা স্পাইওয়্যার এটাচমেন্টের মাধ্যমে আসে। তাই অজানা ইমেইল বা এটাচমেন্ট খোলার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এছাড়া, যে কোনো হার্ড ড্রাইভ বা USB ডিভাইস ব্যবহার করার আগে স্ক্যান করা জরুরি, যাতে ম্যালওয়্যার অপসারণ করা যায়।

পাসওয়ার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে সর্বদা সতর্ক থাকা জরুরি। কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন, যেখানে অক্ষর, সংখ্যা এবং চিহ্নের সমন্বয় থাকবে। সহজ পাসওয়ার্ড যেমন 1234 বা abcd ব্যবহার করা উচিত নয়।

এই কিছু সহজ নিয়ম মেনে চললে আপনার ডিভাইস ও নেটওয়ার্ক হ্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকবে। এছাড়া একটি এন্টি-হ্যাকিং সফটওয়্যার ব্যবহার করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটারের অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারও এন্টি-হ্যাকিং হিসেবে কাজ করতে পারে। এইভাবে সচেতন থাকলে আপনি হ্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।

আরও বিস্তারিত জানতে, আপনি ক্ষতিকর সফটওয়্যার কী? ম্যালওয়্যার কিভাবে প্রবেশ করে? নিবন্ধটি পড়তে পারেন।

উপসংহার

হ্যাকিং হলো একটি মারাত্মক সমস্যা যা প্রতিটি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং দেশের জন্য হুমকি। হ্যাকিং কি, হ্যাকিং কাকে বলে, কম্পিউটার হ্যাকিং কি, হ্যাকার কাকে বলে এবং হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় জানা প্রতিটি ব্যবহারকারীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সচেতনতা এবং নিয়মিত আপডেট ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে হ্যাকিং-এর ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। ডিজিটাল যুগে নিরাপদ থাকা মানেই সচেতন থাকা।

FAQ – হ্যাকিং সম্পর্কিত

হ্যাকিং কি এবং এটি কেন বিপজ্জনক?

হ্যাকিং কি বোঝায় কোনো সিস্টেমে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করে তথ্য চুরি বা ক্ষতি করা। এটি বিপজ্জনক কারণ ব্যক্তিগত ডেটা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও ব্যবসায়িক তথ্য হুমকির মুখে ফেলে। সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিলে হ্যাকিং যেকোনো সময় ঘটতে পারে।

হ্যাকার কাকে বলে এবং তাদের প্রকারভেদ কী?

হ্যাকার কাকে বলে বোঝায় সেই ব্যক্তি যারা সিস্টেম বা নেটওয়ার্কের দুর্বলতা খুঁজে বের করে। হ্যাকাররা White hat, Grey hat এবং Black hat প্রকারের হয়। White hat বৈধভাবে পরীক্ষা করে, Grey hat মাঝে মাঝে অনৈতিক কাজ করে, আর Black hat বেআইনি উদ্দেশ্যে ক্ষতি করে।

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় কী কী?

হ্যাকিং থেকে বাঁচার উপায় হলো সতর্ক থাকা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া। অনুমোদিত সাইট থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করা, শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, ২ ধাপ যাচাই (2FA), অজানা লিংকে ক্লিক না করা এবং অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করে ডিভাইস সুরক্ষিত রাখা যায়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!