স্যামসাংয়ের নতুন মাউস বেশি কাজ করলেই পালিয়ে যাবে

এযাবৎকাল আপনারা হয়তো বিভিন্ন ডিজাইনের কম্পিউটারের মাউস দেখেছেন? আপনার আমার সবার কাছে একটি করে মাউস আছে। এবং সেটি সাধারণ এবং কমন আমরা মোটামুটি সবাই কম বেশি দেখে থাকি।
তবে এবার ভিন্ন রকম কম্পিউটার মাউস তৈরি করা হচ্ছে, এই মাউসটি যে কোন প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ওভার ওয়ার্ক প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
নিশ্চয়ই ভাবছেন এটি কিভাবে সম্ভব? ব্যাপারটা কিন্তু দারুন ইন্টারেস্টিং।
তো আজকের এই আয়োজনে জানাবো একটি কম্পিউটার মাউস কিভাবে কর্মীদের ওভার ওয়ার্ক করা থেকে বিরত রাখবে। আর হ্যাঁ আপনাদের সঙ্গে আছি আমি প্রতিদিনের মতো ইমরান।
অফিসে ঢোকার সময় একটি নির্দিষ্ট টাইম থাকলেও কিন্তু অফিস থেকে ঠিক কখন বেরোবেন সেই সময়টা কিন্তু প্রায় কারোরই জানা থাকে না।
খাতা কলমে সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ডিউটি হলেও, কাজের চাপে কখন যে ১২ ঘন্টা পেরিয়ে যাই তা আপনি হয়তো কল্পনাও করতে পারেন না।
আর অত্যাধিক কাজের চাপে বাড়ে মানসিক ক্লান্তি এবং শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক গোপন জটিল অসুখ।
আর এই অভার ওয়ার্কের সমস্যা থেকে কর্মীদের বের করে আনার জন্যই, এক ধরনের নতুন মাউস বাজারে আসছে। যা আপনাকে অতিরিক্ত কাজ করা থেকে বাধা দিবে।
কর্মক্ষেত্রে কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য একটি কোরিয়ান সংস্থা এই অভিনব মাউসের ভাবনা নিয়ে এসেছে। যা আপনাকে অফিসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ করতে উৎসাহিত করবে।
এই কম্পিউটার মাউস এর বিশেষত্ব হলো আপনার নির্দিষ্ট কাজের সময় এর পর এই মাউস নিজে থেকেই কাজ করা বন্ধ করে দিবে।
২০১৮ সালের দিকে প্রথম কোরিয়ান samsung সংস্থার একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই মাউসের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল। যেখানে দেখানো হয় সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পরও কাজ করতে চাইছে। কিন্তু তার মাউসটি কিছুতেই তার হাতে ধরা দিচ্ছে না কম্পিউটার মাউস টি পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
ভিডিওটি কিন্তু বেশ মজার ছিল? তো যারা এখনো ভিডিওটি দেখেনি তারা নিচে লিংক দেয়া হলো দেখে নিতে পারেন।
ভিডিওটিতে আরও দেখানো হয়েছিল ওই ব্যক্তি মাউসের নাগাল পেলেও সেন্সর অফ করে দেয়ার জন্য কাজ করতে পারছিলেন না এই কম্পিউটার মাউসটি দিয়ে.
কন্সেন্ট ব্যালেন্স মাউস তৈরি করার পিছনে প্রাথমিক কারণ ছিল কোরিয়ান কর্মজীবীদের ভারসাম্য উন্নত করা। মানুষকে যান্ত্রিক কর্ম ব্যস্ত জীবন থেকে বের করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্যই এমন মাউস তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।
এই নতুন কম্পিউটারের মাউসের প্রাথমিক নাম হলো *ব্যালেন্স মাউস* যা বেশি কাজ করার সময় ডেক্স বা টেবিল থেকে অনেকটা দূরত্বে চলে যাবে।
আর এই লেটেস্ট কম্পিউটার মাউসটি দেখতে হুবহু মাউস বা ইঁদুরের মত। আর এতে বসানো থাকতেছে বিশেষ ধরনের সেন্সর, যা আপনাকে অতিরিক্ত কাজকর্ম করতে বাধা দিবে।
এই কনসেপ্ট মাউজের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি হাতের মুভমেন্ট ট্রাক করতে পারে-মাউসটি যখন বুঝতে পারবে আপনি বেশি কাজ করেছেন। তখন তার বডি তে থাকার চাকা গুলো আপনি আপনি বেরিয়ে আসবে, এবং ডেস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে।
বাই চান্স আপনি মাউসটি ধরে ফেলেছেন? কি ভাবছেন সত্যি সত্যি ধরে ফেলেছেন? সত্যি সত্যি ধরে ফেলেও নিস্তার নেই। কারণ তারপরও কাজ করতে পারবেন না এর কারণ হলো মাউসের সেন্সর অফ করে দিবে নিজে থেকেই।
আর এত কিছুর পরে এটাই স্পষ্ট যে মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে একটু বেশি কাজকর্ম করুক এটা বোধহয় আর চাইছে না স্যামসাং। এরকম কথা বলছি কারণ এই মাউস টি দ্বারা ঠিক সেরকমই একটু আকটু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আর এই কম্পিউটার মাউসটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে মানুষকে একেবারে বেশি কাজ করতেই দিবে না মানুষকে বিরত রাখবেই।
অতিরিক্ত কাজের ধকল থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা খুবই জরুরী। শারীরিক ও মানসিক ধকোলের প্রভাবে ব্যক্তিগত ও কর্মজীবন দুটোই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
যাইহোক তবে একটা কথা জানিয়ে দিই ঠিক কবে এই কম্পিউটার মাউস টি বাজারে আসবে এবং এর দাম কত হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য দেয়া হয়নি সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
কারণ প্রাথমিকভাবে এই কনসেন্ট মাউসটি একটি বিজ্ঞাপন এজেন্সির সাথে যৌথ উদ্যোগে লঞ্চ করা হচ্ছে। আমি প্রিডি সিওর কাজের প্রেসারে আপনিও লোডে থাকেন? তাহলে এরকম একটি মাউস আপনারও দরকার কি বলেন?