নগদ সম্পর্কে সব তথ্য জেনে নিন
ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা, নগদ – টিভিতে দেখানো বিজ্ঞাপনের কল্যাণে এই বিষয়টি সবার জানা থাকার কথা। নগদ হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের ডাক বিভাগের একটি ডিজিটাল আর্থিক সেবা, যার মাধ্যমে খুব সহজেই টাকা লেনদেন সম্ভব। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যাত্রা শুরু হয় এই সেবাটির। এটি অনেকটা বহুল জনপ্রিয় বিকাশ এর মতই। চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই নগদ একাউন্ট খুলতে পারেন।
নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম
নগদের উদ্যোক্তা বা এজেন্টের কাছে গিয়ে কাগজপত্র দিয়ে একাউন্ট খোলার পাশাপাশি আপনি ঘরে বসে নিজের একাউন্ট নিজেই খুলতে পারবেন। নিয়ম নিচে জেনে নিন।
নগদ অ্যাপ থেকে নগদ একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
নগদ একাউন্ট খোলা অনেক সহজ। আপনি ঘরে বসেই নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন। নগদ একাউন্ট খুলতে –
- প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপ স্টোর থেকে “Nagad App” ডাউনলোড করুন
- অ্যাপ ডাউনলোডের পর ওপেন করে প্রদত্ত নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- জাতীয় পরিচয়পত্রের উভয় পিঠের ছবি আপলোড করুন
- একটি সেল্ফি তুলে একাউন্টে যুক্ত করুন
- টার্মস এবং কন্ডিশনস পড়ুন
- আপনার সিগনেচার প্রদান করুন
- উপরোক্ত সকল তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করা হয়ে গেলে আপনি নগদ এর সেবা উপভোগ করতে পারবেন।
গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, বাংলালিংক – সকল সিম থেকে নগদ একাউন্ট খোলার নিয়ম
গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, বাংলালিংক অর্থাৎ এসব যেকোনো মোবাইলের সিম ব্যবহারকারীগণ *167# ডায়াল করে নিজের একাউন্টের পিন কোড সেট করলেই একটিভ হয়ে যাবে নগদ একাউন্ট। তারপর উপভোগ করুন নগদের সকল সুবিধা!
আপনার যদি স্মার্টফোন নাও থাকে, ছোট বাটন ফোন থেকেই সহজেই বাটন টিপে নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন। এছাড়া স্মার্টফোন থেকেও উপরোক্ত নম্বর ডায়াল করে নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম কি বা নগদ একাউন্ট কিভাবে দেখবো — এই দুইটি বেশ জনপ্রিয় প্রশ্ন। বিকাশ এর মত একাউন্ট চেক করার সহজ ও মনে রাখার মত কোড না থাকায় নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স চেক করতে অনেকে বিভ্রান্তিতে পড়ে যান। তবে নগদ অ্যাকাউন্ট দেখার নিয়ম আসলে অনেক সহজ। চলুন জেনে নেওয়া যাক, নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
নগদ একাউন্ট টাকা দেখার নিয়ম
নগদ একাউন্টে কত টাকা আছে, অর্থাৎ নগদ একাউন্ট ব্যালেন্স দেখা যাবে দুইটি উপায়েঃ
- নগদ ইউএসএসডি মেন্যু ব্যবহার করে
- নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে
বাটন মোবাইলে ও স্মার্টফোনে নগদ ইউএসএসডি মেন্যু এর কোড *167# ডায়াল করে নগদ একাউন্ট দেখা যাবে। অর্থাৎ নগদ একাউন্ট দেখার নাম্বার হলো *167# যা নগদ ইউএসএসডি মেন্যু এর কোড। আবার নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে অতি সহজে নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখার সুযোগ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ইউএসএসডি কোড ও অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম।
ইউএসএসডি মেন্যু ব্যবহার করে নগদ ব্যালেন্স চেক
নগদ একাউন্ট দেখার নাম্বার *167# অর্থাৎ এই নাম্বারে ডায়াল করে নগদ মোবাইল মেন্যুতে প্রবেশ করে একাউন্ট ব্যালেন্স চেক করা যাবে। ইউএসএসডি মেন্যু ব্যবহার করে নগদ একাউন্টে কত টাকা আছে তা জানতেঃ
- *167# নাম্বারে ডায়াল করুন, নগদ মোবাইল মেন্যু দেখতে পাবেন
- “My Nagad” অপশন সিলেক্ট করতে “7” লিখে রিপ্লাই করুন
“Balance Enquiry” অপশনে প্রবেশ করতে “1” লিখে রিপ্লাই করুন
এরপর চার ডিজিটের নগদ একাউন্টের পিন লিখে রিপ্লাই করুন
- এরপর আপনার নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন
মাত্র তিনটি সহজ ধাপে নগদ একাউন্ট দেখা যাবে নগদ একাউন্ট দেখার কোড ব্যবহার করে। মনে রাখতে হবে যে নগদ মেন্যু এর কোড হলো *167# যা ব্যবহার করে নগদ এর সকল সেবা, যেমনঃ ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি, ইত্যাদি উপভোগ করা যাবে।
নগদ একাউন্ট দেখার কোড ব্যবহার করে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম অনুসরণ করলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই নগদ একাউন্টের পিন প্রদান করতে হবে। তবে আপনি যদি নগদ একাউন্টের পিন ভুলে যান, তাহলে ঘাবড়ানোর কোনো কারণে নেই। নিচে দেওয়া পোস্টে ক্লিক করে নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ ব্যালেন্স চেক
নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম অতি সহজ। অ্যাপ ব্যবহার করে কয়েকটি ট্যাপ এর মাধ্যমে নগদ একাউন্টের টাকা দেখা যাবে। নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতেঃ
- চার ডিজিটের নগদ পিন প্রদান করে নগদ অ্যাপে প্রবেশ করুন
“Tap for balance” বাটনে ট্যাপ করুন
- “Tap for balance” বাটনে ট্যাপ করলে নগদ একাউন্টের ব্যালেন্স দেখতে পাবেন
অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ একাউন্ট দেখার নিয়ম নগদ একাউন্ট দেখার কোড ব্যবহার করে ব্যালেন্স চেক করার চেয়ে অনেক সহজ। নগদ অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম চালিত সকল ডিভাইসে।
নগদ অ্যাপ ডাউনলোড করুনঃ অ্যান্ড্রয়েড । আইওএস
নগদ এর মূল সেবা অ্যাপ ও ইউএসএসডি কোড, উভয় মাধ্যম ব্যবহার করেই গ্রহণ করা যাবে। আপনি হয়ত নিয়মিত ব্যবহার করেন, কিন্তু নগদ একাউন্টের এমন অনেক সুবিধার কথা জানেন না। নগদ একাউন্টের ৯টি অসাধারণ সুবিধার কথা জেনে নিতে পারেন নিচের পোস্টে ক্লিক করে।
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে করণীয়
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গিয়েছেন? চিন্তার কোনো কারণ নেই। খুব সহজে নিজে নিজে ঘরে বসে নগদ একাউন্ট পিন রিসেট করতে পারবেন। *১৬৭# ডায়াল করে কিংবা নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে বেশ সহজে রিসেট করা যাবে নগদ একাউন্ট এর পিন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে নগদ একাউন্টের পিন রিসেট করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত।
*167# ডায়াল করে নগদ পিন রিসেট
নগদ ইউএসএসডি কোড *১৬৭# ডায়াল করে নগদ একাউন্টের পিন রিসেট করা যাবে। নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে এই মেন্যু ব্যবহার করে নগদ পিন রিসেট করতেঃ
- *167# ডায়াল করুন
- নগদ পিন রিসেট করতে “8” লিখে রিপ্লাই করুন
- এরপর পিন ভুলে গেছেন তা নিশ্চিত করতে “1” লিখে রিপ্লাই করুন
- এরপর যে এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে নগদ একাউন্ট খুলেছেন, সে এনআইডি কার্ড এর এনআইডি নাম্বার লিখে রিপ্লাই করুন
- এরপর নগদ একাউন্ট খোলার সময় যে জন্ম তারিখ প্রদান করেছিলেন, সেটি লিখে রিপ্লাই করুন
- গত ৯০দিনে উক্ত নগদ একাউন্টে ট্রানজেকশন করে থাকলে YES ও না করে থাকলে NO সিলেক্ট করুন
- ট্রানজেকশন করে থাকলে শেষ ১০টি ট্রানজেকশন এর মধ্যে যেকোনো একটির টাইপ অর্থাৎ ধরন সিলেক্ট করুন
- উক্ত ট্রানজেকশনের এমাউন্ট অর্থাৎ পরিমাণ লিখে রিপ্লাই করুন
- প্রদত্ত সকল তথ্য এসএমএস এর মাধ্যমে একটি টেম্পরারি পিন কোড পাবেন যা ব্যবহার করে *167# এ প্রবেশ করে নগদ পিন রিসেট করতে পারবেন
নগদ একাউন্টের পিন পরিবর্তন করতে বা পিন রিসেট করতে নগদ ইউএসএসডি মেন্যুর পিন রিসেট অপশনটি ব্যবহার করতে হয়।
নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে প্রথমে উপরে উল্লেখিত নিয়মে টেম্পরারি পিন কোড সংগ্রহ করুন। এরপর নগদ পিন রিসেট করতেঃ
- *167# নাম্বারে ডায়াল করে নগদ মেন্যুতে প্রবেশ করুন
- পিন রিসেট মেন্যুতে প্রবেশ করতে “8” লিখে রিপ্লাই করুন
- এরপর পিন রিসেট করতে “2” লিখে রিপ্লাই করুন
- এসএমএস এর মাধ্যমে পাওয়া টেম্পরারি পিন কোডটি প্রদান করুন
- এরপর আপনার নতুন নগদ পিন প্রদান করুন
- পিন রিসেট নিশ্চিত করতে উক্ত নতুন পিন পুনরায় প্রদান করুন
উল্লেখিত নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করলে আপনার নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে খুব সহজে পিন রিসেট করতে পারবেন।
নগদ অ্যাপ থেকে পিন রিসেট
নগদ অ্যাপ থেকে বেশ সহজে নগদ এর পিন রিসেট করা যাবে। অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ পিন ভুলে গেলে রিসেট করতে নগদ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে পরিচয় ভেরিফাই করতে হয়। নগদ অ্যাপ থেকে নগদ পিন রিসেট করতেঃ
- নগদ অ্যাপে প্রবেশ করুন
- “পিন নাম্বার ভুলে গিয়েছেন?” অপশনে ট্যাপ করুন
- নগদ হেল্পলাইন 16167 অথবা 09609616167 নাম্বারে কল করে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করুন
- এসএমএস এর মাধ্যমে ৬ডিজিটের একটি ওটিপি কোড পাবেন, সেটি নগদ অ্যাপে প্রদান করে “যাচাই করুন” এ ট্যাপ করুন
- চার ডিজিটের নতুন পিন প্রদান করুন
- নগদ পিন রিসেট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে Submit এ ট্যাপ করুন
উল্লেখিত নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করে নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গেলে খুব সহজে অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ একাউন্টের পিন রিসেট করতে পারবেন।
নগদ পিন রিসেট এর শর্তাবলী
- নগদ পিন ভুলে গেলে সেক্ষেত্রে নিজ থেকে অ্যাপ বা ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে পিন রিসেট করা যাবে
- পিন রিসেট করতে একাউন্ট তৈরির সময় প্রদত্ত তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে
- নিজ থেকে পিন রিসেট এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৫ বার পিন রিসেট এর চেষ্টা করা যাবে
- পরপর ৫বার চেষ্টা করেও সফলভাবে পিন রিসেট করতে ব্যর্থ হলে সেক্ষেত্রে ৪ঘন্টার জন্য পিন রিসেট করার চেষ্টা করা যাবেনা
- পিন রিসেট এর অপশন লক থাকা অবস্থায় শুধুমাত্র কাস্টমার কেয়ার এজেন্টগণ নগদ পিন রিসেট করতে পারবেন
- শেষ ৯০দিনের ট্রানজেকশন হিস্টোরি ভেরিফিকেশনের জন্য ব্যবহৃত হয়
আপনি কি কখনো নগদ একাউন্টের পিন ভুলে গিয়েছিলেন? কিভাবে রিসেট করলেন? কমেন্টে শেয়ার করতে পারেন।
নগদ একাউন্টের ৯টি সুবিধা যা আপনার জানা দরকার
বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা নগদ। মার্কেট লিডার বিকাশ এর সাথে প্রতিযোগিতায় থাকা এই মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অসাধারণ সব সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে। বিশেষ করে নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ এর সকল অফার ও সুবিধা ভালোভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। দেখে নিন নগদ একাউন্টের ৯টি সুবিধা যা আপনার জানা দরকার।
একাউন্ট খোলা সহজ
দেশের যেকোনো মোবাইল অপারেটরে যেকোনো নাম্বারে বেশ সহজে নগদ একাউন্ট সেল্ফ রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। ডাক বিভাগের সেবা হওয়ায় নগদ একাউন্ট তৈরী করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। মাত্র দুটি ধাপে পিন সেটাপ করে চালু করা যাবে নগদ একাউন্ট। নগদ ইউএসএসডি কোড *১৬৭# ডায়াল করে নগদ একাউন্ট খোলার এই সুবিধা উপভোগ করা যাবে।
আবার অ্যাপ ব্যবহার করেও নগদ একাউন্ট তৈরী করা বেশ সহজ। একাউন্ট খোলার পর এনআইডি কার্ড এর উভয় পাশ স্ক্যান করে কেওয়াইসি আপডেট করলেই নগদ একাউন্ট একটিভ হয়ে যায়।
সেন্ড মানি করা ফ্রি!
যেকোনো এমাউন্টের নগদ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করা যাবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। অর্থাৎ একটি নগদ নাম্বার থেকে অন্য নগদ নাম্বারে টাকা পাঠাতে কোনো চার্জ প্রযোজ্য নয়। এর ফলে সেন্ড মানি খরচ এর বিষয়টি নিয়ে ভাবার কোনো প্রয়োজন নেই নগদে সেন্ড মানি করার ক্ষেত্রে।
নগদ অ্যাপ থেকে সেন্ড মানি করতেঃ
- নগদ অ্যাপে প্রবেশ করে সেন্ড মানি সিলেক্ট করুন
- যাকে সেন্ড মানি করতে চান, তার নগদ একাউন্টের ফোন নাম্বার ও টাকার পরিমাণ লিখুন
- এক শব্দের একটি রেফারেন্স প্রদান করুন
- নগদ পিন নাম্বার প্রদান করে সেন্ড মানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করুন
ক্যাশ আউট চার্জ কম
নগদে ক্যাশ আউট চার্জ অন্যান্য মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট, যেমন বিকাশ একাউন্ট থেকে অনেক কম। নগদ অ্যাপ ব্যবহার করে ক্যাশ আউট করলে প্রতি হাজারে ১১.৪৯টাকা চার্জ প্রযোজ্য হয়। আবার ইউএসএসডি কোড ব্যবহার করে ক্যাশ আউট করলে সেক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ১৪.৯৪টাকা ক্যাশ আউট চার্জ কাটে। অন্য জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবার সাথে তুলনা করলে নগদ এর ক্যাশ আউট চার্জ অনেক কম বলা চলে।
বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে নগদ এর ক্যাশ আউট চার্জ প্রতি হাজারে ৯.৯৯টাকা দেখানো হয়৷ প্রতি হাজারে ৯.৯৯টাকার এই নগদ ক্যাশ আউট চার্জ আসলে ভ্যাট ছাড়া ক্যাশ আউট চার্জ। প্রকৃতপক্ষে নগদ ক্যাশ আউট চার্জ উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডিসকাউন্ট ও অফার
নগদে সবসময় বিভিন্ন ধরনের ডিসকাউন্ট ও অফার চলতে থাকে। বর্তমানে চালু রয়েছে এমন কিছু উল্লেখযোগ্য নগদ অফার ও ডিসকাউন্ট হলোঃ
- গ্রামীণফোন, রবি, এয়ারটেল, টেলিটক, বাংলালিংক এ মোবাইল রিচার্জে ৫০% পর্যন্ত ক্যাশব্যাক
- NOVOAIR এ ১০% ডিসকাউন্ট
- Go Zayaan এ ৬৫% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট
- চরকি স্ট্রিমিং সার্ভিসে সাবস্ক্রিপশনে ৫০% পর্যন্ত ডিসকাউন্ট
- ওভাই এ নগদ পেমেন্টে ৩০% পর্যন্ত ইন্সট্যান্ট ক্যাশব্যাক
- লংকা বাংলায় প্রথমবার বিল পেমেন্টে ১০% ক্যাশব্যাক
এসব অফার আর ডিসকাউন্ট এর পাশাপাশি নগদ অ্যাপে বিভিন্ন ধরনের নিয়মিত ডিল সম্পর্কে জানতে পারবেন। নগদ অ্যাপে প্রবেশ করে টপ রাইট কর্নারে থাকা নোটিফিকেশন বেল এ ট্যাপ করলে চলমান অফারসমূহ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিল পে ফ্রি
নগদ মোবাইল ব্যাংকিং এর “বিল পে” সেবার মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট, টেলিফোন ও অন্যান্য অসংখ্য সার্ভিসের বিল পে করা যাবে বাড়তি কোনো খরচ ছাড়াই। নগদ বিল পে সম্পূর্ণ ফ্রি হওয়ায় কোনো ধরনের বাড়তি খরচ গুণতে হচ্ছেনা বিল পেমেন্ট করার ক্ষেত্রে।
আবার মোবাইল থেকেই বিল পেমেন্ট করার সুযোগ থাকায় লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে বিল পেমেন্ট করতে হচ্ছেনা, যা অসাধারণ একটি সুবিধা। সরকারি বিভিন্ন সেবাসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিলও নগদ এর মাধ্যমে প্রদান করা যাবে কোনো বাড়তি ফি ছাড়াই।
মুনাফা
নগদ একাউন্টের ব্যালেন্সের উপর যে মুনাফা বা সুদ পাওয়া যায়, এই বিষয়টি অনেক ব্যবহারকারীই জানেন না। নগদ ব্যালেন্স ১,০০০টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৩০০,০০০ টাকার জন্য মুনাফা পাওয়া যাবে। নগদ একাউন্টে প্রতি মাস শেষে নির্দিষ্ট ব্যালেন্স থাকলে বছর শেষে নির্দিষ্ট অংকের মুনাফা পাওয়া যাবে নগদ থেকে। নগদ ব্যালেন্সের উপর ভিত্তি করে মুনাফা পেতে নগদ একাউন্টের “মুনাফা” ফিচারটি চালু রাখতে হবে। তবে আপনি যদি এই সুদ বা ইন্টারেস্ট না নিতে চান তাহলে এটি বন্ধ করে রাখতে পারবেন।
কোভিড-১৯ টেস্ট ফি প্রদান
কম খরচে কোভিড-১৯ টেস্ট এর ফি প্রদান করা যাবে নগদে। মাত্র ১০০টাকায় নগদে বিল পে করে কোভিড-১৯ টেস্ট করা যাবে। অন্যদিকে বিদশগামী যাত্রীগণ ১,৫০০টাকায় কোভিড-১৯ টেস্ট এর ফি প্রদান করতে পারবেন। অ্যাপ ও ইউএসএসডি কোড, উভয় উপায়ে কোভিড-১৯ টেস্ট এর ফি প্রধান করা যাবে।
উল্লেখ্য যে এই সেবাটি বর্তমানে শুধুমাত্র ঢাকা ও চট্টগ্রামে পাওয়া যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এই সেবাটি পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে নগদ কতৃপক্ষ।
নগদ ইসলামিক একাউন্ট
ইসলামিক বিধিনিষেধ মেনে মোবাইল ব্যাংকিং করতে চান? নগদ ইসলামিক একাউন্ট এর কল্যাণে সে সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন যেকোনো নগদ গ্রাহক। খুব সহজে নগদ অ্যাপের একাউন্ট টাইপে ট্যাপ করে ইসলামিক একাউন্টে কনভার্ট করা যাবে।
নগদ ইসলামিক একাউন্টে উপরে উল্লেখিত মুনাফা ফিচারটি পাওয়া যাবে না। আবার সাধারণ অ্যাপ থেকেই নগদ এর সকল ফিচার ব্যবহারের সুযোগ থাকছে নগদ ইসলামিক একাউন্টে। নগদ ইসলামিক একাউন্টের পদমর্যাদা, লেনদেন সীমা, প্রযোজ্য ফি সাধারণ একাউন্টের মতোই উপভোগ করা যাবে।
ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনার নিয়ম
নগদ এ চালু হলো ব্যাংক থেকে টাকা আনার সুবিধা। এর ফলে গ্রাহকগণ নিজেদের ব্যাংক একাউন্ট থেকেই নগদে টাকা আনতে পারবেন। অর্থাৎ নগদে ক্যাশ ইন করতে এজেন্টের কাছে যেতে হবেনা। সরাসরি নিজের ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করেই নগদ ব্যবহারকারীগণ নগদে টাকা আনতে পারবেন।
নগদ এর এই “ব্যাংক-টু-নগদ” অ্যাড সার্ভিস এর ফলে দেশ বিদেশের যেকোনো প্রান্ত হতেই ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করে রিচার্জ করা যাবে নগদ ব্যালেন্স। ব্যাংক থেকে যেকোনো নগদ একাউন্টে দৈনিক ৫ বার ও সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করা যাবে। এইভাবে প্রতি মাসে ২৫ বার সর্বমোট ২০০,০০০ টাকা পর্যন্ত অ্যাড মানি করা যাবে।
যেসব ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনা যাবে
মোট ১৩ টি ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনা যাবে। অ্যাপ, ওয়েবসহ একাধিক মাধ্যমে ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনা যাবে। যেসব ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনা যাবে, সেসব ব্যাংকগুলো হলোঃ
- মিডল্যান্ড ব্যাংক (অ্যাপ এর মাধ্যমে)
- এক্সিম ব্যাংক (ওয়েব এর মাধ্যমে)
- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (ওয়েব এর মাধ্যমে)
- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (অ্যাপ এর মাধ্যমে)
- কমিউনিটি ব্যাংক (অ্যাপ এর মাধ্যমে)
- শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক (অ্যাপ এর মাধ্যমে)
- এনআরবি ব্যাংক (অ্যাপ এর মাধ্যমে)
- সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক (অ্যাপ ও ওয়েব এর মাধ্যমে)
- প্রিমিয়ার ব্যাংক (অ্যাপ ও ওয়েব এর মাধ্যমে)
- আইএফআইসি ব্যাংক (ফান্ড ট্রান্সফার পোর্টাল এর মাধ্যমে)
- ইউনিয়ন ব্যাংক (অ্যাপ ও ওয়েব এর মাধ্যমে)
- এনআরবিসি ব্যাংক (অ্যাপ ও ওয়েব এর মাধ্যমে)
- ন্যাশনাল ব্যাংক ব্যাংক (ওয়েব এর মাধ্যমে)
ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনার নিয়ম
ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনতে গেলে বেনিফিশিয়ারি অ্যাড করতে হবে। বেনিফিশিয়ারি অ্যাড করতেঃ
- নগদ অ্যাপ এ প্রবেশ করুন
- “অ্যাড মানি” নির্বাচন করুন
- “ব্যাংক টু নগদ” সিলেক্ট করুন
- ব্যাংক সিলেক্ট করুন
- ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ বা ওয়েব এ লগ ইন করুন
- “অ্যাড বেনিফিশিয়ারি” অথবা “ম্যানেজ বেনিফিশিয়ারি” ক্লিক করুন (ফান্ড ট্রান্সফার / ট্রান্সফার টু নগদ এর নিচে)
- নির্দেশিত ধাপগুলো অনুসরণ করে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে ‘নগদ’ একাউন্ট অ্যাড করুন
- এখন বেনিফিশিয়ারি ‘নগদ’ একাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন
বেনিফিশারি অ্যাড করার পর ব্যাংক থেকে ‘নগদ’ একাউন্টে টাকা পারবেন। ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনতেঃ
- নগদ অ্যাপ এ প্রবেশ করুন
- “অ্যাড মানি” নির্বাচন করুন
- “ব্যাংক টু নগদ” সিলেক্ট করুন
- ব্যাংক সিলেক্ট করুন
- ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং অ্যাপ বা ওয়েব-এ লগ ইন করুন
- ফান্ড ট্রান্সফার / ট্রান্সফার টু ‘নগদ’ সিলেক্ট করুন
- বেনিফিশিয়ারি লিস্ট থেকে ‘নগদ’ একাউন্ট সিলেক্ট করুন
- ব্যাংক ডেবিট একাউন্ট সিলেক্ট করুন
- টাকার পরিমাণ দিন এবং কারণ লিখুন
- ওটিপি টাইপ করুন
- কনফার্ম বাটনে ক্লিক করুন
- ট্রান্সফার শেষে কনফার্মেশন এসএমএস পাবেন
ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনার ফি
ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনতে কোনো ফি প্রযোজ্য নত। অর্থাৎ সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যাংক থেকে নগদে টাকা আনা যাবে। এছাড়াও উল্লেখিত ব্যাংকগুলোর ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে দেশের বাইরে থেকেও ‘নগদ’ একাউন্টে অ্যাড মানি করতে পারবেন নগদ ব্যবহারকারীগণ। তবে ‘নগদ’ অ্যাপটি শুধু বাংলাদেশে ব্যবহার করা যাবে।
নগদ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম
বিভিন্ন কারণে নগদ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন হতে পারে। এই পোস্টে নগদ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়মের পাশাপাশি নগদ একাউন্ট কেন বন্ধের প্রয়োজন হতে পারে সে সম্পর্কে জানবেন।
কেন নগদ একাউন্ট বন্ধ করবেন?
নগদ একাউন্ট বন্ধ কেনো করবেন, এই বিষয়ে আপনার প্রশ্ন থাকলে প্রথমে সে বিষয়ে পরিস্কার ধারণা অর্জন করা যাক। একাধিক কারণে নগদ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন পড়তে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক নগদ একাউন্ট বন্ধ করার প্রয়োজন পড়তে পারে এমন কারণ সম্পর্কে।
সিম বন্ধ করা
নগদ একাউন্ট খোলা থাকা সিম যদি ব্যবহার বন্ধ করেন, সেক্ষেত্রে অহেতুক উক্ত সিমে নগদ একাউন্ট খোলা রাখার কোনো মানে হয়না। কোনো সিম বন্ধ করার আগে উক্ত সিমে চালু থাকা নগদ বা বিকাশ এর মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
বিদেশ গমন
বিদেশে গেলে সেক্ষেত্রে নগদ মোবাইল ব্যাংকিং কোনো কাজে আসবেনা। যেহেতু নগদ ফোনে থাকা সিমের উপর ভিত্তি করে চলে ও বিদেশে বাংলাদেশী সিম ন্যাটিভভাবে চলেনা, তাই বিদেশ স্থায়ীভাবে যাওয়ার ক্ষেত্রে নগদ একাউন্ট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
ফোন নাম্বার পরিবর্তন
আপনার ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার পরিবর্তন করতে চাইলে সেক্ষেত্রে নগদ একাউন্টের ফোন নাম্বার পরিবর্তন করাও জরুরি। একটি এনআইডি ব্যবহার করে শুধুমাত্র একটি নগদ একাউন্ট খুলতে পারেন একজন ব্যক্তি। আপনি যদি আপনার ব্যবহারের ফোন নাম্বারটি পরিবর্তন করেন ও তাতে আপনার নগদ একাউন্ট খোলা থাকে, সেক্ষেত্রে নগদ একাউন্ট বন্ধ করে তবেই নতুন নাম্বারে নগদ একাউন্ট খুলতে পারবেন।
নতুন একাউন্ট খোলা
পুরোনো নগদ একাউন্ট অন্য কারো এনআইডি দ্বারা খুলে ফেললে সেক্ষেত্রে নতুন একাউন্ট খোলার প্রয়োজন পড়তে পারে। এমন অবস্থায় একাউন্ট বন্ধ করে নতুন একাউন্ট খুলতে হবে নিজের এনআইডি ব্যবহার করে।
অন্য কোনো সেবা ব্যবহার
একই সিমে একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করা যায়। তবে আপনি যদি বাড়তি মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট না রাখতে চান ও শুধুমাত্র নির্দিষ্ট এক বা একাধিক মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করতে চান, সেক্ষেত্রে আপনার নগদ একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারেন।
নগদ একাউন্ট বন্ধ করার আগে
নগদ একাউন্ট বন্ধ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই এনআইডি কার্ড এর আসল কপি ও নগদ একাউন্ট খোলা সিম এর প্রয়োজন পড়বে। নগদ একাউন্ট যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স বা পাসপোর্ট দ্বারা ভেরিফাই করা হয়ে থাকে, তবে উক্ত কাগজের আসল কপি ব্যবহার করতে হবে। সিম হারিয়ে যাওয়ার কারণে নগদ একাউন্ট বন্ধের বিষয়টি কিছুটা জটিল। তাই সম্ভব হলে সিম হারিয়ে গেলে আগে সিম তুলুন, তারপর নগদ একাউন্ট বন্ধের প্রয়োজন হলে নগদ একাউন্ট বন্ধ করুন।
এছাড়াও নগদ একাউন্ট বন্ধের আগে উক্ত একাউন্টে যদি ব্যালেন্স থেকে থাকে, তা ক্যাশ আউট করে ফেলুন, অথবা অন্য নগদ একাউন্ট পাঠিয়ে রাখুন। নগদ একাউন্টে ব্যালেন্স রেখে নগদ একাউন্ট বন্ধ করে ফেললে সেক্ষেত্রে ব্যালেন্সে থাকা অর্থ আর রিকভার করা যাবেনা।
নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পদ্ধতি
নগদ একাউন্ট বন্ধ করার একাধিক পদ্ধতি রয়েছে৷ প্রথমত ঘরে বসে নগদ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে পারেন। এছাড়া সরাসরি নগদ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়েও নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন।
ঘরে বসে নগদ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করে নগদ একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম সম্পর্কে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক। নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে নগদ হেল্পলাইন নাম্বার, 16167 বা 09609616167 এর মধ্যে যেকোনো একটিতে কল করুন। কল করার সময় অবশ্যই যে নাম্বারে নগদ একাউন্ট আছে, উক্ত সিম থেকে কল করার চেষ্টা করবেন।
নগদ হেল্পলাইন নাম্বারে কল করার পর কাস্টমার কেয়ার থেকে বিভিন্ন অপশন দেওয়া হবে। কাস্টমার কেয়ার এজেন্টের সাথে কথা বলার অপশন পর্যন্ত ন্যাভিগেট করুন। এরপর উক্ত কাস্টমার কেয়ার এজেন্টকে একাউন্ট বন্ধের বিষয়টি কারণসহ জানান। এরপর উক্ত কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের তথ্যসহ একাউন্টের কেওয়াইসি পূরণের সময় প্রদত্ত বিভিন্ন তথ্য চাইবেন।
সঠিকভাবে সকল তথ্য প্রদান করে নগদ কাস্টমার কেয়ার এজেন্টকে সহায়তা করুন। এরপর সফলভাবে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কাস্টমার কেয়ার এজেন্ট আপনার নগদ একাউন্ট বন্ধ করে দিবেন।
এইতো গেলো কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে কলের মাধ্যমে নগদ একাউন্ট বন্ধের মিয়ম সম্পকে। এছাড়াও সরাসরি নগদ কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়ে নগদ একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন। কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে নগদ একাউন্ট খোলা থাকা সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র এর মূল কপিসহ যোগাযোগ করুন। এরপর একজন কাস্টমার কেয়ার এজেন্টকে আপনার একাউন্ট বন্ধের বিষয়টি কারণসহ জানান। উক্ত এজেন্ট আপনার প্রদত্ত তথ্য ভেরিফাই করে নগদ একাউন্ট বন্ধ করে দিবেন।
অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন, নগদ একাউন্ট বন্ধ করার পর উক্ত এনআইডি দ্বারা বা ফোন নাম্বারে আবার নগদ একাউন্ট খোলা যাবে কিনা। হ্যাঁ, নগদ একাউন্ট বন্ধ পর একই এনআইডি বা সিম ব্যবহার করে পুনরায় নগদ একাউন্ট খোলা যাবে।
আরও পড়ুনঃ নিজেই নিজের জাতীয় ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন